ভর্তিচ্ছুর জন্য মেস খুঁজতে গিয়ে মাথা ফাটল রাবি ছাত্রের
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২২, ১২:৩৭ AM , আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২২, ১২:৩৭ AM
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে আবাসিক হোটেলে রাখার জন্য সিট দেখতে গিয়ে ছিনতাই ও মারধরের শিকার হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী। শুক্রবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছিনতাইকারীদের দ্বারা মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় ভুক্তভোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম দুলাল চন্দ্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর এলাকার ভাই ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবীর বলেন, দুলাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাবিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে আবাসিক হোটেলে রাখার জন্য লক্ষ্মীপুর এলাকায় সিট দেখতে যায়। এসময় হাসিব, আলাল এবং কটা নামের স্থানীয় তিন যুবক তাকে হোটেলে সিট দেওয়ার নামে ডেকে নেয়। তারা দুলালকে একটা রিকশায় করে পাশের আলীগঞ্জ পশ্চিমপাড়া নামক এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে রিকশা থামিয়ে তারা দুলালের মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়, এবং বাড়িতে ফোন দিয়ে ২০ হাজার টাকা নিতে বলে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় টাকা না দিতে চাইলে তারা দুলালকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে দুলাল অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। এসময় ছিনতাইকারী ওই তিনজন পালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী দুলালকে উদ্ধার করে মুখে পানি দিয়ে জ্ঞান ফেরায়। এরপর রিকশাযোগে ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে দেয়। এসময় আশেপাশের লোকজন যারা দুলালকে ওই তিনজনের সাথে যেতে দেখেছে, তারা ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করে তাদের নাম লিখে দেয়।
হুমায়ুন কবীর জানান, দুলালকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হলেও পরবর্তীতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় দুলালের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো প্রকার অভিযোগ বা মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী ছিনতাই ও মারধরের শিকার হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি জানা মাত্রই ছাত্র উপদেষ্টাসহ দুজন সহকারী প্রক্টরকে হাসাপাতালে পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চিকিৎসার বিষয়টিও তাদের দেখতে বলেছি। আর ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানাপুলিশের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করব।