ইশতেহার ‘অঙ্গীকার ভেঙ্গে’ ডীন হলেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি 

জবি উপাচার্য ও ট্রেজারারকে ফুলেল শুভেচ্ছা
জবি উপাচার্য ও ট্রেজারারকে ফুলেল শুভেচ্ছা   © ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২২ এর আগে ইশতেহার ঘোষণার সময় 'নির্বাচিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কোন পদ না নেওয়ার' অঙ্গীকার করলেও তা ভঙ্গ করে ডীনের দায়িত্ব নিয়েছেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন।  আজ রবিবার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ট্রেজারারকে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন হিসেবে যোগদান করেন ড. আবুল হোসেন।

এর আগে গত ৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো: ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন হিসেবে  শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেনকে নিযুক্ত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ১২ জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে এবং দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন বলে জানানো হয়। 

এদিকে শিক্ষক সমিতি নির্বাচন-২০২২ এর আগে গত বছরের ৩ নভেম্বর শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেনের নীলদলের (একাংশ) প্যানেল শিক্ষক লাউঞ্জে নির্বাচনী ইজতেহার ঘোষণা করেন। এসময় ইশতেহার বলা হয়, 'অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেন-অধ্যাপক ড. আবুল কালাম, মো: লুৎফর রহমান প্যানেল নির্বাচিত হলে শিক্ষকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়ার লক্ষ্যে নির্বাচিত সদস্যরা প্রশাসনিক পদ গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। আমরা আমাদের ইশতেহার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।' 

প্রশাসনিক পদ বলতে কি কি- গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের  জবাবে ইজতেহার ঘোষণার দিন আবুল হোসেন- লুৎফর রহমান প্যানেল নীলদল জানায়, প্রশাসনিক কোন দপ্তরের প্রধান, ডীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কমিটির নেতৃত্ব স্থানীয় পদ। কিন্তু শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেও দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাসের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ড. আবুল হোসেন। 

এছাড়া শিক্ষকদের স্বার্থ বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ পদ না নেয়ার কথা বলা হলেও ২০১৪ সাল থেকে এখনো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে একই প্যানেল থেকে সদস্য পদে নির্বাচিত ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। নির্বাচনের আগে কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হলেও জয়ী হওয়ার পর কমিটির শীর্ষ পদে থাকা ইশতেহার ভঙ্গ কিনা প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে নীরব থাকতে দেখা যায়। এর কারণ হিসেবে করোনা মহামারীকে দায়ী করেছেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, 'ডীন, চেয়্যারম্যান পদ প্রশাসনিক পদের মধ্যে পড়ে না। আমরা বলেছিলাম ভিসি-ট্রেজারারের এখতিয়ারভুক্ত দপ্তর বা কমিটির প্রশাসনিক পদ নিব না। ডীন-চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য আলাদা নীতিমালা আছে। সেসময় আমরা কি বলেছিলাম, না বলেছিলাম তা তোমরা ভুল শুনেছো।' 

প্রায় ৮ বছর ধরে স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি হিসেবে থাকার বিষয়ে ড. আবুল হোসেন আরো বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে আমি কমিটিতে আছি। তবে কোন আর্থিক সুবিধা পায় না।


সর্বশেষ সংবাদ