ঢাবির বঙ্গবন্ধু হলে শিক্ষার্থী নির্যাতন, তদন্তে বিলম্ব

ঢাবি শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লগো
ঢাবি শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লগো   © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছাত্রলীগের হাতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বললেও দশ দিনেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তারা।

চলতি মাসের ১০ তারিখ এই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের আবু তালিবকে নির্যাতন করে একই হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রলীগের ৪ সক্রিয় কর্মী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন হল প্রশাসন।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক মো. আব্দুস সোবহান (উপল তালুকদার), ড. সাইফুল হক, ড. আব্দুল খায়ের ও তানজিল শাহ। কিন্তু ঘটনার দশ দিন হয়ে গেলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির প্রধান বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুস সোবহান তালুকদারের তাৎক্ষণিক মন্তব্য ছিল ‘২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারব।’

এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম ৩ দিনের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা করতে পারব। কিন্তু আমাদের সামনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন ও দুই দুইটা ছুটির দিন আসায় একটু বিলম্ব হচ্ছে। আমরা আগামীকাল রাত ১০টায় এটা নিয়ে বসব। তারপর অতিসত্বর তদন্ত রিপোর্ট জমা দিব।

তবে নির্যাতনের ঘটনার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবু তালিব বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, এ তদন্ত কমিটির কোনো সদস্যই এখন পর্যন্ত তার সাথে কোনো আলাপ আলোচনা করেননি। কিন্তু আব্দুস সোবহান তালুকদারের মন্তব্য, তালিবের সাথে দু’বার এ বিষয়ে কথা বলেছে তদন্ত কমিটি।

আরও পড়ুন : জোড় তারিখে জোড়, পরদিন বিজোড় গাড়ি চলবে: মেয়র আতিকুল

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেনকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল ও মেসেজ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলবেন বলে জানান। 

প্রসঙ্গত, নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- সমাজকল্যাণ বিভাগের শেখ শান্ত আলম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ইমদাদুল হক বাঁধন, তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শাহাবুদ্দিন ইসলাম বিজয় ও আইন বিভাগের নাহিদুল ইসলাম ফাগুন।

তারা সবাই বঙ্গবন্ধু হলের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী এবং ওই হল ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান শান্তের ছোট ভাই হিসেবে পরিচিত। মেহেদী হাসান শান্ত বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী।


সর্বশেষ সংবাদ