গভীর রাতে ছুরিকাঘাতে রাবি শিক্ষার্থী আহত

আহত শিক্ষার্থী নাফি
আহত শিক্ষার্থী নাফি  © টিডিসি ফটো

গভীররাতে ছুরিকাঘাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে আহত শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হচ্ছে বলে জানান তার সহপাঠীরা।

বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সোয়া ১২টার দিকে নগরীর বিনোদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে হামলাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি।

আহত সাফফাত নায়েম নাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের (২০১৯-২০ সেশন) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার দিবাগত প্রায় ১২টার দিকে বিনোদপুরের এম আর ছাত্রাবাসে অবস্থানরত কিছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে হওয়া এক সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রাবাসে অবস্থানরত এডমিশনের এক শিক্ষার্থী অবস্থানরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর এক শিক্ষার্থীকে বার বার নামাজের জন্য বলায় বিরক্ত হয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। সেটি সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষার্থী তার সিনিয়রদের ডাকেন।

আরও পড়ুন: চবির হলে অভিযান, ককটেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার

জানা যায়, ছাত্রলীগের ফরিদুলের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন ছেলে সেই ছাত্রাবাসে যান। ঘটনার সমাধান শেষে মেসের বাইরে থাকা ৪-৫ জনের সঙ্গে তাদের ঝামেলা বাঁধে। ঝামেলার এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় এবং ছুরিকাঘাতে নাফি আহত হন। পরবর্তীতে গুরুতর অবস্থায় নাফিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ৪নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন তার সহপাঠীরা৷

এবিষয়ে ঘটনাস্থলে থাকা আহত শিক্ষার্থীর সহপাঠী ইবরাহীম জানান, ঘটনাটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। ছাত্রাবাসে হওয়া সমস্যার সমাধানের জন্য গতকাল রাতে এম আর ছাত্রাবাসে আমরা যাই৷ সমস্যার প্রায় সমাধান করে গেটের বাহিরে আসলে হঠাৎ কিছু লোক এসে গেট লাগা বলে অতর্কিতভাবে আক্রমন চালায়। ফলে আমরা ছত্রভঙ্গ হয় পড়ি। সেখানে আমাদের সহপাঠী নাফি আহত হয়।

বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, চলাফেরা নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে কথাকাটি থেকে বিষয়টির সূত্রপাত। বিষয়টি জানামাত্রই আমি আর ছাত্র উপদেষ্টা ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। ওই শিক্ষার্থীকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ দুর্বৃত্তদের আটক করার চেষ্টা করছে।

এবিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু করতে পারবো না। তাছাড়া আমরা বিষয়টা দেখছি বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ