চবি ক্যাম্পাসে বসন্তের ছোঁয়া লাগেনি যাদের মনে

চবি ক্যাম্পাসের রিকশাচালক
চবি ক্যাম্পাসের রিকশাচালক  © টিডিসি ফটো

বসন্ত এসে গেছে,তার প্রমাণ দেওয়ার জন্য রয়েছে প্রকৃতির নানান আয়োজন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলের ডালিয়া ফুল কিংবা ফরেস্ট্রির গাঁদা ফুলের বাহার অথবা দক্ষিণ ক্যাম্পাসের নাম না জানা ফুলের সমাহার দেখে সহজেই অনুমান করা যাবে বসন্তের আগমন। তবে ঋতুরাজ বসন্ত প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তুললেও রাঙাতে পারেনি অনেক মানুষের হৃদয়কে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পহেলা ফাল্গুনে ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা দেখেও বোঝা যায় ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। তবে অপ্রকাশিত আরো কিছু বিষয় রয়েছে যা কাছে না গেলে বোঝা মুশকিল। দেখা যাক, ক্যাম্পাসের রিকশাচালক, বাদাম বিক্রেতা কিংবা ফুসকাওয়ালাদের দিনযাপনে কেমন প্রভাব ফেলছে পহেলা ফাল্গুন কিংবা ভালোবাসা দিবস?

আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে বিপরীত মেরুতে শিক্ষামন্ত্রী-ভিসিরা

এমন কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কথা বলে জানা গেছে দিবসগুলো তাদের জীবনকে রাঙাতে পেরেছে কিনা।

ক্যাম্পাসের রিকশাচালক মো. রায়হান। বাড়ি ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রামে। তিনি বলেন, তুলনামূলক বেশি মানুষের আনাগোনা রয়েছে ক্যাম্পাসে। বেশি মানুষ দেখলে আমাদেরও ভালো লাগে। তবে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল না এই দিনে। সকাল থেকেই রিকশা চালাচ্ছি।

জোবরা গ্রামেরই আরেক রিকশাচালক মো. মায়নুদ্দিন বলেন, সারাদিনই রিকশা চালাচ্ছি। ভর্তি কার্যক্রম ও আজকে ভালোবাসা দিবস হওয়ায় ক্যাম্পাসে তুলনামূলক বেশি ভিড় আজকে। তবে আজকের দিবস উপলক্ষে কিছু ভাবতে পারিনি।

আরও পড়ুন: এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর উপাচার্য হলেন ড. রুবানা হক

ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দীর্ঘদিন বাদাম বিক্রি করে আসছেন মো. জাবেদ। বসন্তের হাওয়া দোলা দেয়নি তাকেও। তিনি বলেন, সারাদিনই বাড়িতে ছিলাম। দুপুর ৩টার দিকে ক্যাম্পাসে এসেছি। আমাদের আর কিসের দিবস! আল্লাহ সুস্থ রেখেছেন এতেই আমরা খুশি।

এলাকায় টুকটাক শীতবস্ত্র বিক্রি করেন বকুল মিয়া। আজকের দিবসের কোনো পরিকল্পনা আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের আর পরিকল্পনা কী! এসব দিবস আমাদের জন্য না। বয়সও হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শীত শেষের দিকে। বেচা-কেনা প্রায় নেই বললেই চলে। অবিক্রীত মালামালগুলো বেঁধে রেখে দিতে হবে পরবর্তী বছর বিক্রির জন্য।

 


সর্বশেষ সংবাদ