ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করলে ব্যবস্থা: সাদ্দাম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:০৬ PM , আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:০৬ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে গেস্টরুমে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আকতারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার হল প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা যাচ্ছে।
তবে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
আরও পড়ুন: গেস্টরুমে অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের মেঘনা ব্লকের ৩০০২ (ক) কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আকতারুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এদিকে, এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে হলের আবাসিক শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম সানাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, সন্দেহ নাই। ঘটনা শুনে আমি গত রাত ৩টার দিকে হলে গেছি। শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমি নিজে কথা বলেছি। তাকে আমি সাপোর্টও দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কেউ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা তো দূরের কথা, ন্যূনতম অসম্মানজনক আচরণও যদি করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন: হলে আখতারের উপর ছাত্রলীগের নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ঢাবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান রাজু, সমাজকল্যাণ বিভাগের ইয়ামিম ইসলাম, ইতিহাসের হৃদয় আহমেদ কাজল, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সাইফুল ইসলাম, লোকপ্রশাসনের সাইফুল ইসলাম রোমান এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের ওমর ফারুক শুভ আকতারকে গেস্টরুমে নিয়ে যায়।
আকতার এসময় নিজেকে অসুস্থ দাবি করলেও অভিযুক্তরা তাকে গেস্টরুমে নিয়ে লাইটের দিকে তাকিয়ে থাকতে বলে। লাইটের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে এক সময় আকতার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাকে আবার হলে নিয়ে আসা হয়।