গদি বাঁচাতেই মোদিকে প্রয়োজন: আখতার হোসেন

কালো পতাকা মিছিল
কালো পতাকা মিছিল  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, ‘দেশের ১৬কোটি মানুষ মোদিকে স্বাগত জানায়নি। কিন্তু আওয়ামী সরকার মোদিকে আনতে মরিয়া হয়ে গেছে। আসলে গদি বাঁচাতেই মোদিকে প্রয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আপনাদের গদি ধরে টান মারবে।’ এ সময় আরসি, সিআইএ করে করে লাখ লাখ ভারতীয় বাংলাদেশে ঢুকানোর পায়তার চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আজ বিকেল ৪টায় শহিদ মিনার থেকে শামসুন্নাহার হল, রাজু ভাস্কর্য, টিএসসি প্রদক্ষিণ শেষে ডাস (ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্ন্যাক্স) ছাত্র অধিকার পরিষদের সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ছাত্র অধিকার পরিষদের সকলকে কালো পতাকা মিছেলের ব্যানারে সমাবেশ করতে দেখা যায়। 

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগের 'অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ' ছাত্র সমাবেশের বিপরীতে ছাত্র অধিকার পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে মোদি বিরোধী আন্দোলনে গতকাল প্রগতিশীল ছাত্রজোটের উপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান। এর যথাযথ বিচার দাবি করেন ছাত্র অধিকারের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল পোড়াল ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।

রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি করার কথা থাকলেও ছাত্রলীগের 'অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ' ছাত্র সমাবেশ চলায় ডাস এর সামনেই এ সমাবেশ করেন তারা।

ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন'র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আহবায়ক(ভারপ্রাপ্ত) রাশেদ খান, যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান, ঢাবি সভাপতি আখতার হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানরা এসেছেন আমরা তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাই কিন্তু মোদির মত একজন সাম্প্রদায়িক নেতাকে আমরা স্বাগত জানতে পারছি না। আমরা মোদিকে স্বাগত জানাতাম, যদি তিনি ভারতের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতেন এবং তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করে আমাদের দেশে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ না করতেন।’

যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান যদি একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান হয়, তাহলে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে জনগণের উপস্থিতি কোথায়। সেখানে তো দলের নেতাকর্মী ছাড়া আর কাউকে দেখি না। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান।’

তিনি বলেন, যেই ব্যক্তির হাতে আমার বোন ফেলানীর লাশের গন্ধ লেগে আছে, যেই ব্যক্তি কারণে গত দশ বছরে সীমান্তে ১ হাজার ২৩৬ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সেই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ জনগণ এদেশে আসতে দিতে পারে না।

এ সময় আখতার হোসেন আরো বলেন, এখন পর্যন্ত সীমান্তে মানুষ খুনের পাহাড় কি বন্ধ আছে? বাণিজ্যের অসমতা কি বন্ধ আছে? দেশের প্রতিটি সেক্টরে নগ্ন হস্তক্ষেপ সেটা কি বন্ধ আছে? প্রশ্ন তুলেন আখতার।

এতে উপস্থিত ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীরা 'না' 'না' বলে উত্তর দেন। এতো কিছুর পরেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে এদেশে আমন্ত্রণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আখতার।

এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান, ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি আসিফ মাহমুদ, সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল বাকী, দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত সহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence