৩ দশক পর চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন, এবার হবে ‘বৈশাখ শোভাযাত্রা’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৫ PM , আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৭ PM

বাংলা নতুন বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রায় তিন দশক পর এ নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এবার পহেলা বৈশাখে উপলক্ষে বের হওয়া এই শোভাযাত্রার নামকরণ করা হবে ‘বৈশাখ শোভাযাত্রা’।
যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই শোভাযাত্রার নামকরণ পরিবর্তন করা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। তাদের ভাষ্য, আগামী ২৩-২৪ মার্চের মধ্যে এবারের শোভাযাত্রার বিস্তারিত জানানো হবে।
জানতে চাইলে আজ বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আজহারুল ইসলাম চঞ্চল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আজ থেকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে আমাদের কর্মশালা শুরু হয়েছে। আমরা পহেলা বৈশাখ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়গুলো আগামী ২৩-২৪ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।
পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরানো হলেও মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস খুব বেশি পুরানো নয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৮৫ সালের পহেলা বৈশাখে যশোরে। তখন দেশে ছিল সামরিক শাসন। উদ্দেশ্য ছিল দেশের লোকজ সংস্কৃতি উপস্থাপনের মাধ্যমে সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা। আর সেই শোভাযাত্রায় অশুভের বিনাশ কামনা করে শুভশক্তির আগমনের প্রার্থনা করা হয়। এর উদ্যোগ নিয়েছিলেন চারুশিল্পী মাহবুব জামাল শামিম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করে যশোরে চলে যান তিনি। যশোরে গিয়ে চারুপিঠ নামে একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করেছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত যশোরে সীমাবদ্ধ থাকেনি মঙ্গল শোভাযাত্রা।
১৯৮৯ সালে পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকেও শুরু হয় এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। শুরুতে এর নাম ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ ছিল। তৎকালীন রাজনৈতিক অবস্থাকে মাথায় রেখেই এমনটা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ হিসেবেই পরিচিত হয়।
বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে ধারণা পাওয়া যায়, ১৯৯৬ সাল থেকে চারুকলার এই আনন্দ শোভাযাত্রা মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে নাম লাভ করে।