প্যারালাইসিসে আক্রান্ত চবি শিক্ষার্থী আশিক, উন্নত চিকিৎসায় প্রয়োজন সহযোগিতা

মো. আশিকুর রহমান
মো. আশিকুর রহমান  © টিডিসি সম্পাদিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত। তার বাম পাশের কাঁধের নার্ভ ড্যামেজ এবং ডান হাতসহ শরীরের ডান দিক প্যারালাইজড হয়ে যায়। অর্থের অভাবে নিয়মিত চিকিৎসা না চালাতে পেরে তার বাম হাত অনেকটা শুকিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শক্রমে তিনি বাহিরে চিকিৎসা নিতে চান। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন আড়াই লাখ টাকা যা তার হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে জোগান দেওয়া সম্ভব নয়।

গত দেড় বছর আগে আশিক প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়। এরপর চট্টগ্রাম পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার পর ডাক্তার তাকে প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র দেন। প্রথম কয়েকমাস ঔষধ সেবন করতে পারলেও আর্থিক সমস্যার কারণে নিয়মিত করতে পারেননি তিনি। গতবছর চট্টগ্রামের মেহেদীবাগে ম্যাক্স ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে ড. এস চক্রবর্তীকে দেখালে তিনি প্রয়োজনীয় পরীক্ষানিরীক্ষার পর ‘Erb's pulsy’ নামক প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা বলেন।  বর্তমানে তিনি আশিককে বাহিরে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসাবাবদ সবমিলিয়ে আনুমানিক খরচ হতে পারে আড়াই লাখ টাকা। যা আশিকের হতদরিদ্র দিনমজুর বাবার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। 

কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার তুষার মালিয়াট গ্রামের মো. আরিফুল ইসলামের সন্তান আশিক। দুই ভাই-বোনের মধ্যে আশিক বড়। ছোটবোন স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা পেশায় একজন দিনমজুর মা গৃহিণী। গতবছর ঘরের চাল থেকে পড়ে তার হাত ভেঙে যায়। বর্তমান তিনি ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। 

আশিকের সহপাঠী চবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তনজিহা বিনতে কবির বলেন, তিনি দেড় বছর যাবৎ প্যারালাইজড রোগে আক্রান্ত। চরম আর্থিক অবস্থার কারণে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেনি। ফলে তার ডান হাত অনেক শুকিয়ে গেছে। আমাদের সকলের একটু সহযোগিতায় তাকে একটি সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে। তাই আমরা আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

আশিকের আরেক সহপাঠী সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ মিয়া বলেন, আপনাদের কাছে আমার সহপাঠী আশিকুর রহমানের জন্য আর্থিক সাহায্য প্রার্থনা করছি। কাঁধের নার্ভ শুকিয়ে ডান হাত প্যারালাইজড অবস্থায় আছেন তিনি। গত দেড় বছর ধরে আশিকের চিকিৎসার খরচ বহন করতে গিয়ে তার পরিবার আজ নিঃস্ব। বর্তমানে চিকিৎসার খরচ মেটানো তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ডাক্তার বলেছেন, দ্রুত উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারলে ডান হাতসহ ডান কাঁধ পুরোটা প্যারালাইজড হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে আশিক জানান, দেড় বছর আগে আমার ডান হাতে প্রচণ্ড ব্যথা দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। প্রয়োজনীয় টেস্ট দিলে ডাক্তার বলে বাম কাঁধের নার্ভ ড্যামেজের দিকে। কয়েকমাস ঔষধ চলে কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে নিয়মিত চালিয়ে যেতে পারিনি। এরপরে আমার সমস্যা আরো বাড়তে থাকে। বাম পাশের কাঁধের নার্ভ ড্যামেজ এবং ডান হাতসহ শরীরের ডান দিক প্যারালাইজড হয়ে যায়। বর্তমানে ডান হাত অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। এ হাতে তেমন কিছু নিতে পারি না। অনেক দুর্বল অবস্থায় আছি। বর্তমানে বাসায় অবস্থান করছি।

তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে আমি ড. এস চক্রবর্তীর কাছে গেলে তিনি আমাকে ‘Erb's pulsy’ নামক প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা বলেন। বর্তমানে তিনি আমাকে বাহিরে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ভারতের হায়দ্রাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেব। এতে সবমিলিয়ে খরচ হতে পারে আড়াই লাখ টাকা। আমার বাবা একজন দিনমজুর। তিনি ঘরের চাল বুনার কাজ করেন। এতদিন তিনি আমার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা খরচ করেছেন। বর্তমানে তার পক্ষে আর সম্ভব নয়।

এমতাবস্থায় জীবন বাঁচাতে দেশের সহৃদয়বান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আশিক। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: ০১৯৭০০২৯৮২৪ ( বিকাশ, নগদ, রকেট- পার্সোনাল)


সর্বশেষ সংবাদ