আন্দোলনের মুখে ঢাবির সংস্কৃত বিভাগে চেয়ারম্যান পদে সঞ্চিতা গুহ’র নিয়োগ স্থগিত
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫১ AM , আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৭ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ড. সঞ্চিতা গুহকে চেয়ারপার্সন হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর নিয়োগ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল রোববার (৫ জানুয়ারি) তাঁর এ দায়িত্ব গ্রহণের কথা ছিল। তবে শিক্ষার্থীরা তার অতীত কর্মকাণ্ড ও আচরণের জন্য এ পদে দেখতে চান না বলে জানান।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক সঞ্চিতা গুহ’র বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ময়না তালুকদারের বিদেশে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কলা অনুষদের ডিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে শিক্ষার্থীদের জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জুলাই আন্দোলনের সময় ড. সঞ্চিতা গুহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ইন্ধন দিয়েছিলেন। সে সময় ছুটিতে থাকলেও অনলাইনে শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। ভয়-ভীতিও প্রদর্শন করেছিলেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ক্লাসে পর্দানশীল শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতেন এবং তাদের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করতেন। ইচ্ছা করেই তাদেরকে কম নম্বর দিতেন।
এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা গত ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে মানববন্ধন করেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সংস্কৃত বিভাগের সামনে ব্যানার টাঙিয়ে দুই দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- ড. সঞ্চিতা গুহকে সংস্কৃত বিভাগের চেয়ারপার্সন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না; সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য তাকে অদম্য-১৪, প্রত্যয়ী-১৫, সংকল্প-১৬, সুশ্চম-১৭ এবং সৌরচান্দ্রিক-১৮ ব্যাচের কোনো ক্লাসের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না।
আরো পড়ুন: দুই দশকে বই ইস্যু কমেছে ৯৬%, আগ্রহ বেড়েছে চাকরির পড়াশোনায়
জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরুর পর বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে তারা দাবিতে অনড় থাকায় অধ্যাপক ড. সঞ্চিতা গুহ বিভাগে এলেও দায়িত্বে ফিরতে পারেননি। তাকে বিভাগের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা মনে করেন, এ পদে একজন নিরপেক্ষ এবং যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হলে শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান শনিবার (৪ জানুয়ারি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি দেওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী আমাকে আপাতত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।