পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে ইসলামী বিশেষজ্ঞ না থাকায় উদ্বেগ ঢাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ PM , আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ AM
১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত সমন্বয় কমিটিতে কোনো ইসলামী বিশেষজ্ঞ না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সেমিনার কক্ষে বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এক মতবিনিময় সভায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এ সময় উক্ত বিভাগ থেকে ২ জন আরবি সাহিত্য বিভাগ থেকে ২ জনসহ মোট ৪ জন ইসলামী বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি পুনর্গঠন করার দাবি জানান তারা। অন্যথায় যথাযথভাবে পরিমার্জন ও ইসলামী মূল্যবোধবিরোধী উপাদান পরিমার্জন সম্ভব হবে না মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন তারা।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ছানাউল্লাহর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা৷ সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটিতে কোনো ইসলামী বিশেষজ্ঞ না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূলধারার সকল স্তরে (প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়) ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জোর দাবি জানানো হয়।
বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শফিক আহমেদ বলেন, এনসিটিবি কর্তৃক গঠিত কমিটিতে কোনো ইসলামী বিশেষজ্ঞ রাখা হয়নি। বিষয়টি ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য সত্যিই উদ্বেগজনক।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব (সরকারি মাধ্যমিক-২) মো. ইয়ানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি সমন্বয় কমিটি দেওয়া হয়। সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খম কবিরুল ইসলামকে এবং সদস্যসচিব করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে।