জাবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে ঝুলছে তালা, বন্ধ কার্যক্রম

জাবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে তালা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা
জাবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে তালা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা  © ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদের অফিসে এক সপ্তাহ ধরে তালা ঝুলছে। এতে অনুষদের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া হামলায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন বশির আহমেদসহ প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ দাবি করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, একে একে পদত্যাগ করেন প্রশাসনের সকল কর্তা-ব্যক্তিরা। তবে ডিন বশির আহমেদের বিরুদ্ধে হামলায় সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগের পরেও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। এ কারণে গত ১৯ আগস্ট তার অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবির সমন্বয়ক আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, ‘যখন আমরা একটি ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন করছিলাম, তখন ছাত্রলীগ, বহিরাগত সন্ত্রাসসহ পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। এ হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন বশির আহমেদসহ প্রশাসনের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাদের প্রত্যেককেই আমরা সময় বেঁধে দিয়েছিলাম, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা পদত্যাগ করেন।’ 

তিনি বলেন, ‘উপাচার্যসহ প্রশসানের প্রায় সবাই পদত্যাগ করলেও ডিন বশির আহমেদ এখনও পদত্যাগ করেননি। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা গত সপ্তাহে তার অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই তালা ঝুলবে। কারণ, শিক্ষার্থীরা তাকে চায় না।’

আরো পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদে নিয়াজ আহমেদ, সাইমা হক ও মোহাম্মদ ইসমাইল

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ জুবায়ের শাবাব বলেন, ‘তাকে (বশির আহমেদ) আমরা শিক্ষক হিসেবে জানতাম। কিন্তু ১৫ জুলাই রাতে তার যে ভূমিকা আমরা দেখেছি, তা তাকে একজন শিক্ষার্থীদের ওপরে হমালার মদদদাতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। সেদিন থেকেই তিনি তার ডিন পদ তো দূর, শিক্ষক হিসবে থাকার যোগ্যতাও হারিয়েছেন। এমন একজন মানুষের এক মূহুর্তও ডিন পদে থাকার অধিকার নাই। অতিসত্ত্বর তিনি পদত্যাগ না করলে আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব।’

এ বিষয়ে অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, ‘আমি এখন ছুটিতে আছি। শিক্ষার্থীদের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে কোনো লিখিত পত্র পাইনি। তবে শিক্ষার্থীরা চাইলে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসন আসলে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা মেনে নেব।’


সর্বশেষ সংবাদ