বন্যার্তদের সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিতে রাবি শিক্ষক সমিতির সভা ২৭ আগস্ট

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের উত্তর-পূর্ব, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বের জেলাগুলো। বন্যাকবলিত এলাকার অসহায় মানুষগুলোকে সহযোগিতার জন্য ফান্ড সংগ্রহ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে রাবি শিক্ষক সমিতি এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। সিদ্ধান্ত নিতে ২৭ আগস্ট সভা ডেকেছে শিক্ষকদের এ সংগঠন। তবে অসহায় মানুষের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দেরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে নিন্দার ঝড়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, যেখানে বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের অবস্থা ভয়াবহ, সেখানে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে মিটিং ডেকেছেন ৪-৫ দিন পর। এ কেমন হাস্যরসাত্মক সিদ্ধান্ত নিলেন তারা। তাদের উচিত ছিল যত দ্রুত সম্ভব অর্থ সংগ্রহ করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো। কেউ কেউ ব্যাঙ্গ করে বলছেন, ‘মিটিংটা আরো পরে ডাকলেও পারতেন।’

মনির হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘এটা একটা হাস্যরসাত্মক সিদ্ধান্ত। আপনাদের মিটিং শেষ হতে হতে দেখবেন সাহায্য করার মতো একটি মানুষও খুঁজে পাবেন না। এ বিষয় নিয়ে তো জরুরি মিটিং ডাকতে পারতেন। পেনশন স্কিম নিয়ে তো জরুরি মিটিং ডেকে দ্রুত গতিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ছাত্রদের পাঠদান থেকে বঞ্চিত করে মাঠেও বসে পড়েছিলেন। কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি কেন? সাহায্য না করলেই তো পারেন, প্রহসন করার কী দরকার আছে বলুন?’

অর্থনীতি বিভাগের সোহাগ হোসাইনের কথায়, রাত সাড়ে ১১টার পর সিন্ডিকেট মিটিং ডেকে বিশ্বিবদ্যালয়ের হলসমূহ বন্ধ করে দিতে পারেন। কিন্তু দেশের সংকটকালীন পরিস্থিতিতে পরীক্ষণ, পর্যবেক্ষেণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ডাটা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হচ্ছেন। মিটিংটা আরও কিছু দিন পর করলে ভালো হতো। ৮ সপ্তাহ নেন সময়।’

কেউ কেউ প্রশংসাও করেছেন। নুর মোহাম্মদ শাওন নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘উদ্যো নিয়েছে সেটার সাধুবাদ জানাই। বন্যার পানি চলে গেলেও সাহায্য প্রয়োজন হবে পুনর্বাসনের জন্য। সমাজে নিন্দুক থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সবাই নিন্দুক হলে সমস্যা।’

আরো পড়ুন: পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস দেয়নি কোনও পক্ষ

এ বিষয়ে রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক সরকার বলেন, প্রক্রিয়াগত কারণে ২৭ তারিখের আগে মিটিং দেওয়া সম্ভব ছিল না। কারণ এর আগের দিনগুলো ছুটি‌। আর ছুটির দিনে শিক্ষকদের ডাকলে পাওয়া যাবে না। এটা আমার কোনো ব্যক্তিগত সিন্ধান্ত না। সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। সেখানে কেও এক দিনের, এক মাসের বা এক বছরেরও বেতন দিতে পারেন, সেটা শিক্ষকদের ইচ্ছা। এরপরও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামীকাল সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে একটা জরুরি মিটিং করে রবিবার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’

তিনি আরো বলেন, সিদ্ধান্তে কারোর আপত্তি থাকলে তিনি বলবেন। এছাড়া ভিসি, প্রো-ভিসি কেও নেই। টাকা কী প্রক্রিয়ায় পাওয়া যাবে, সেটাও একটা ভাবার বিষয়। কারণ অ্যামাউন্ট তো কম না। সর্বদিক বিবেচনা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।


সর্বশেষ সংবাদ