বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২৯ AM , আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৩৫ PM
শাটল ট্রেনের ছাদে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীরা আহত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বন্ধ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেন। গতকাল রাতে সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয় নিশ্চিত করলেও আজকে শাটল চলছে না। এতে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, চবি রুটে নিরাপদবোধ না করায় চবির শাটল ট্রেন চালাবে না লোকোমাস্টাররা।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সহকারী প্রক্টর রোকন উদ্দিন বলেন, সকাল নয়টায় বটতলী পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিনটি এবং ষোলোশহর স্টেশন থেকে পাঁচটি মোট আটটি বাস ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে।
এদিকে শাটল না চলায় চট্টগ্রাম নগরী থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতকারী হাজার হাজার শিক্ষার্থী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, যাদের পরীক্ষা বা জরুরি ক্লাস আছে তাদের জন্য জরুরি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবিতে তাণ্ডব: ক্ষোভ নাকি পূর্ব পরিকল্পিত?
এর আগে, এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। যদিও ভিসি অধ্যাপক শিরীণ আখতার এ বাসভবনে থাকেন না। তবে, ভিসির বাসভবনের প্রায় প্রত্যেকটি কক্ষে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ফুলের টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাব, ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিংমেশিন, কক্ষ, লকার, জানালা ভেঙে ফেলে শিক্ষার্থীরা। পরে আসবাব বের করে বাসভবনের উঠানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এ ছাড়াও বাস, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসসহ ক্যাম্পাসে থাকা প্রায় ৬০টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিবহণ দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নূরুল আবছার জানান, ভেতরে থাকা সব গাড়িতেই ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৫০টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে যাওয়ার সময় হেলে পড়া একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হন। আহত শিক্ষার্থীদের ১৬ জনকে ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।