তিন দাবিতে তিনদিন ধরে একক অনশনে জাবি ছাত্র

একক অনশনে রাবি ছাত্র সামিউল ইসলাম প্রত্যয়
একক অনশনে রাবি ছাত্র সামিউল ইসলাম প্রত্যয়  © টিডিসি ফটো

আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করাসহ তিন দফা দাবিতে গত তিনদিন থেকে একক অবস্থানে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। গেল বুধবার (৩১ মে) সন্ধ্যা ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের খেলার মাঠে অবস্থা নিয়ে অনশন শুরু করেন তিনি। প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর্যন্ত এ অনশন চলমান।

অবস্থানকারী শিক্ষার্থী হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪৯ ব্যাচের  শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র।

সামিউলের অন্য দাবিগুলো হলো- আবাসিক হলের গণরুম বিলুপ্ত, আবাসিক হলগুলো থেকে অছাত্রদের বের করা ও মিনি গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের সিট নিশ্চিত করা।

অবস্থান কর্মসূচির খবর পেয়ে শুক্রবা রাতে হলের দায়িত্বরত শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা সামিউলের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান ওই শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: রাবিতে অনশনে অসুস্থ ৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

সামিউল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রশাসন থেকে অছাত্রদের একাধিকবার হল ছাড়ার নির্দেশ দিলেও তারা তা মানছেন না। ফলে কৃত্রিম আবাসন সংকটের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে প্রশাসন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমি গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে এখানে অবস্থান করছি। হল প্রশাসন থেকে এসে আমাকে দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমি অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

মীর মশাররফ হোসেন হলের ওয়ার্ডেন অধ্যাপক সাব্বির আলম বলেন, ওই শিক্ষার্থীর সাথে আমি দুইবার দেখা করেছি। ইতিমধ্যে তাকে হল প্রশাসন থেকে আসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তার অন্য দাবিগুলোও মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি। এমনকি সে যদি মুখের কথাতে বিশ্বাস না করে, তাহলে লিখিত দেওয়ার কথাও বলেছি। তবে সবগুলো দাবি বাস্তবায়নের জন্য সময় চেয়েছি। কিন্তু সেই সময় দিতেও সে রাজি হচ্ছে না। 

হলের প্রধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, গণরুম বিলুপ্ত এবং তার বাকি যেসব দাবি রয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য সময় প্রয়োজন। সে আমাদের সময় দিতে চায় না। আমরা সার্বক্ষণিক তার খোঁজখবর রাখছি।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম শুক্রবার রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘‘আমি কিছুক্ষণ আগেই নিজে সেখানে গিয়েছিলাম। আমরা তাকে রুমের ব্যবস্থা করে দিতে চেয়েছি। কিন্তু সে তাতে রাজি হয়নি। আমরা তার দাবিগুলো পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।’’


সর্বশেষ সংবাদ