পুলিশের গুলিতে আহত রাবির তিন শিক্ষার্থীকে ভারতে নেওয়া হচ্ছে

  © সংগৃহীত

স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে চোখে আঘাত পাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিন শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে ভারত যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওই তিন শিক্ষার্থী। তাদের চিকিৎসার পরবর্তী সব খরচ দেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহত ওই তিন শিক্ষার্থী হলেন- রাবি আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন ইসলাম, ফারসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেসবাহুল ও মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলিমুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: শরীরের গুলির ‘পিলেট’ নিয়ে জীবনযাপন করবেন রাবির অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী!

আইন বিভাগের আল আমিন ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের দিন আমরা বুঝতে পারিনি আকস্মিক আমাদের ওপর হামলা করা হয়। হামলার পর আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিলেট রয়েছে। গলার নিচে প্রায় ২০-৩০টা পিলেট রয়েছে। ঢাকায় আমাদের তেমন কোনো চিকিৎসা করা হয়নি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে কেবল পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।  

ফারসি বিভাগের শিক্ষার্থী মেসবাহুল বলেন, ঢাকায় যাওয়ার পর নতুন কোনও চিকিৎসা হয়নি, যা হওয়ার রাজশাহীতেই হয়েছে। চোখে এখনো গুলির ‘পিলেট’ আছে। ডান চোখে কিছুই দেখতে পারছেন না। চিকিৎসক বলেছেন, তারা কোনো ঝুঁকি নিতে চান না, অস্ত্রোপচার করাতে হবে।

আরও পড়ুন: হলের সামনে গিয়ে ছাত্রীদের নাম ধরে ছাত্রলীগ নেতার চিৎকার-চেঁচামেচি

তবে রাবি মার্কেটিং বিভাগের আলিমুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ বহনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না, যোগাযোগও করেননি। বর্তমানে তিনি খুলনায় তার বাড়িতে রয়েছেন। তার ভারতে চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করা হয়ে গেছে। তিনি শিগগিরই যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আল আমিন ও মেসবাহুলের পরিবারের সদস্যরা এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয়ে নেওয়া হবে। সাধ্যের মধ্যে থাকলে ওই তিন শিক্ষার্থীর চিকিৎসার শতভাগ খরচই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেবে। ভারত যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দুজনকে পাসপোর্ট করতে পাঠানো হয়েছে।  

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৫টা থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, স্থানীয় ব্যবসায়ী, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক ব্যাক্তি আহত হন। গুরুতর তিনজনকে পাঠানো হয় ঢাকায়। পুলিশের ছোড়া ছররা গুলিতে আহত ছয় শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেলের চক্ষু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। 


সর্বশেষ সংবাদ