বসন্ত উৎসব উদযাপন করল ঢাবির সাংস্কৃতিক সংসদ

গুণীজনদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে
গুণীজনদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে  © সংগৃহীত

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে বসপ্ত উৎসব-১৪২৯ উদযাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ। বুধবার (১৫ মার্চ ) ঢাবির টিএসতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বসন্ত উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। মুখ্য আলোচক ছিলেন নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, "স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে হলে সাংস্কৃতিক বিপ্লব গড়ে তুলতে হবে। আমরা অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, মানবতাবাদী সাংস্কৃতিক বিপ্লব চাই। বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় বিপ্লবের (সাংস্কৃতিক) নেতৃত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ দেবে"।

তিনি আরো বলেন, "প্রত্যেক নেতাই একসময় নেতা ছিলো। তারা পূর্বেও তাদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ করতো, এখনো করে যাচ্ছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গন সবাইকে প্রেমিক হতে শেখায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে আমরা সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটাতে চাই। যেন আমাদের অবস্থা ইরাক, সিরিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো না হয়।" 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, “একটা ভালো গান, একটা ভালো কবিতা, একটা ভালো গল্প মানুষকে পথ দেখায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একই ভাবে মানুষ হয়ে ওঠার পথ তৈরি করে।”

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা মনে করি সংস্কৃতিই আমাদের জাগরণের হাতিয়ার। সাম্প্রদায়িকার বিষদাঁত ভেঙে সংস্কৃতির মাধ্যমেই আমরা সকল কুসংস্কার, গোড়ামি, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি দূর করতে চাই।”

অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদান রাখা পাঁচ গুণীজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- নাট্যব্যক্তিত্ব ওয়াহিদা মল্লিক জলি, রহমত আলী, আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী, অভিনয়শিল্পী ফারুক আহমেদ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ।


সর্বশেষ সংবাদ