অসচ্ছল ছাত্রীদের আর্থিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় আনবে ঢাবি: উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘লীলা নাগ পরীক্ষার হল' এর নামফলক উন্মোচন করেন উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘লীলা নাগ পরীক্ষার হল' এর নামফলক উন্মোচন করেন উপাচার্য  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অসচ্ছল ছাত্রীদের আর্থিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর বলে দাবি করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। আজ বৃহস্পতিবার  (৯ মার্চ) ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগের নামানুসারে কলা ভবনে ‘লীলা নাগ পরীক্ষার হল' এর নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এই দাবি করেন উপাচার্য।

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল ছাত্রীদের আর্থিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহায়তা প্রদানের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি । এছাড়া, নারীর প্রতি সামাজিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও  নির্যাতন বন্ধে কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি ।

আরও পড়ুন: ডিআইইউতে শিক্ষার্থীদের দুপক্ষে মারামারি, কেউ হাসপাতালে-কেউ কারাগারে

লীলা নাগ বাঙ্গালি নারী সমাজে ব্যাপক জাগরণ সৃষ্টি করেন উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, লীলা নাগ অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন এবং সমাজের অবহেলিত ও বঞ্চিত নারীদের উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এসময়, লীলা নাগের জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে আত্নপ্রত্যয়ী, উদ্যমী ও সাহসী নারী হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতির বক্তব্যে ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জেরিন আলম বলেন, লীলা নাগ পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক নারী উন্নয়নে ভূমিকা রেখে গেছেন। তখনকার দিনে নারী পুরুষ একসাথে পড়াশোনা করতো না। এজন্য লীলা নাগকে ঢাবি থেকে এমএ ডিগ্রি নিতে অনেক সমস্যার মাঝে যেতে হয়েছে। পড়াশোনা, সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি রাজনীতির সাথে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন, যা বর্তমান নারীদের জন্য বড় একটা শিক্ষা।

আরও পড়ুন: শুধুমাত্র পাস নিয়েই বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির নিয়ম থাকছে না

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল প্রথম নারী শিক্ষার্থী লীলা নাগের জন্ম ১৯০০ সালে আসামের গোয়ালপাড়ায়। তার মা কুঞ্জলতা দেবী চৌধুরী ও বাবা গিরিশচন্দ্র নাগ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বেথুন কলেজ থেকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম তিনি ইংরেজি সাহিত্যে সম্মানসহ বিএ পাস করেন এবং বৃত্তিসহ পদ্মাবতী স্বর্ণপদক অর্জন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাস করেন। লীলাবতী নাগ মূল নাম হলেও তিনি খ্যাত হয়েছেন লীলা নাগ নামে।

 


সর্বশেষ সংবাদ