সব ক্ষেত্রেই ঢাবির মেয়েরা ভালো করছে: উপাচার্য
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৪ PM , আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৪ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান বলেছেন, ঢাবিতে এখন মেয়েদের উপস্থিতি ৪০ শতাংশের বেশি। একাডেমিক ফলাফল থেকে শুরু করে খেলাধুলা সব জায়গায় তারা ভালো করছে। তাদেরকে নিয়ে কাজ করতে হবে, অনুপ্রাণিত করতে হবে। সকল ক্ষেত্রে যদি সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায় তাহলে সমাজে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের স্পেশাল সেমিনার রুমে ‘বঙ্গমাতা বক্তৃতামালা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব ঘটে গেছে বলা যায় যেটা অন্য দেশ ভাবতেও পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সেনাবাহিনীর উচ্চ পদ, আমলা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা সাবলীলভাবে অংশগ্রহণ করছে। নানা চ্যালেঞ্জিং সব কাজে বাংলাদেশের মেয়েরা অংশগ্রহণ করেছে বিধায় নারীর ক্ষমতায়নের মানদণ্ডে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে অনেক এগিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যাচ্ছেন। তারা সেখানে অভ্যন্তরীণ কর্মচারী হিসেবে কাজ করে। কিন্তু বাংলাদেশে এটা এখনো স্বীকৃতি পায়নি। আমি আশা করি সরকার এই বিষয়ে ভাববে। অনেকগুলো সূচকে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে তুলনামূলক চিত্র পর্যালোচনা করলে হতাশার জায়গাও রয়েছে। কানাডার মত দেশে যারা অভিবাসী আছে তাদের জীবনযাত্রার মান খুবই খারাপ। তবুও তারা কাজ করে যাচ্ছেন এবং রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. রওনক জাহান। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লির্বাটি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম।
সভাপতির বক্তব্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নানা সময় নানা রকম সমালোচনা হয়। তবে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস রচনা শুরু হয়েছে এবং সমাজের পরিবর্তন সাধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।
অধ্যাপক ড. তানিয়া হক বলেন, ২০২২ সালের ৭ আগস্ট ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এই গবেষণার প্রতিষ্ঠানের সূচনা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানকে যথেষ্ট স্বীকৃতি দেবার পাশাপাশি সকল নারীকে ক্ষমতা ও অধিকার প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে উন্নয়নের প্রতিনিধি হিসেবে।