চবিতে নান্দনিক তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ কাজের উদ্বোধন 

নান্দনিক তথ্য কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু
নান্দনিক তথ্য কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শুরু হয়েছে নান্দনিক তথ্য কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ। ৬ মাসের মধ্যেই দৃশ্যমান হচ্ছে স্থাপনাটি। পাঁচতলা বিশিষ্ট এই ভবনে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য প্রদানের ব্যবস্থা। 

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ তম ব্যাচের অর্থায়নে উদ্বোধন করা হয় স্থাপনাটির কাজ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রকল্পটি।  

তথ্য সেন্টারের পাশাপাশি এতে থাকবে বিশাল ফটো গ্যালারি এবং অত্যাধুনিক ক্যাফেটেরিয়া। নির্মিতব্য এই তথ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অতিথিবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ এবং আবাসিক হলের তথ্যও পাওয়া যাবে এখানে।

প্রকল্পটির উদ্বোধন উপলক্ষে জমে উঠেছে ২১ তম ব্যাচের এ্যালামনাইদের মিলনমেলা। প্রাণোচ্ছলতায় মেতে উঠে স্মৃতির রোমন্থন করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেন অনেকেই।  

আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহে ৪১তম বিসিএসের ফল

প্রকল্পের নির্মাণ কাজের  উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল তথ্য সেন্টার স্থাপন করার। ২১ ব্যাচ তা বাস্তবায়ন করছে। আমাদের অর্থ সবসময় সংকুলান করা হয়না। একুশ ব্যাচের অর্থায়নে কাজটি শুরু হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখেই এ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কাজ শুরু করেছে। তারা কমফোর্ট সেন্টারও নির্মাণ করেছে রোটারি ক্লাবের সাথে। আমরা একুশ ব্যাচকে ধন্যবাদ জানাই। আমি অন্যান্য ব্যাচকেও আহ্বান জানাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিভিন্নভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ তম ব্যাচ এবং কর কমিশনার ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, আমরা মনে করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রেই সুরক্ষা পায় না। বিশেষ করে টয়লেটের সমস্যায় থাকে। তাই আমরা একটা কমফোর্ট সেন্টার করেছি যেখানে স্বাস্থ্যকর টয়লেটসহ কিছু সুযোগ সুবিধা তারা ব্যবহার করতে পারবে।  

'আমরা একুশ ব্যাচ'এর আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আ ন ম সরওয়ার আলম বলেন, এদিনটি আমাদের জন্য স্মরণীয় দিন। গত দুই বছরের কাজ আজ সার্থক হতে চলেছে। আমরা ৮০ দশকের ছাত্র। আমরা আমাদের এই কাজ সম্পূর্ণ করতে ঐক্যবদ্ধ। আমরা যখন শিক্ষার্থী ছিলাম তখন শুধুমাত্র হলে অথবা চাকসুতে টয়লেটের ব্যবস্থা ছিল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম তথ্য সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা আশা করবো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এটি অনুসরণ করবে। কারেন্ট শিক্ষার্থীরাও দলমত নির্বিশেষে এসব কর্মকাণ্ডগুলো হাতে নিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সমৃদ্ধ করবে। 

এছাড়াও ২১তম ব্যাচ এবং রোটারি ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ এর যৌথ অর্থায়নে  নির্মিত হয়েছে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ সংলগ্ন কমফোর্ট সেন্টার। শীঘ্রই নবনির্মিত এই সেন্টারের উদ্বোধন করা হবে। 

এতে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান ও প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াসহ সহকারী প্রক্টরবৃন্দ এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনসহ বিভিন্নহলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একুশ ব্যাচের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আ ন ম সরওয়ার আলম, সদস্য সচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বাদল, জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী মেন্দি, কর কমিশনার ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালাহউদ্দিন, অধ্যক্ষ সেলিম রেজা রেজাউল করিম স্বপন, ভরঞ্জন বণিক, সুস্মিতা সুলতানা, মাসুদ তালুকদার, সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী মিন্টু, সাইফুল ইসলাম সোহেল, এডভোকেট ওমর ফারুক, অপূ বৈদ্য, হাসনা বানু, সিমলা অধ্যক্ষ সেলিস নো মোর চৌধুরী, ওহিদুল আলম, রেজাউল করিম, মুজিব রহমান, অধ্যাক্ষ শোভনা চৌধুরী, দিদারুল আলম, জহুরুল ইসলাম হেলাল, সবুজ নাথ, চম্পা চৌধুরী, মৃদুল চক্রবর্তী, মানিক মজুমদার, অধ্যাপক নুরুল আমিন, আলী মাহবুব, ইমাম হোসেন মো. সাইফুল্লাহ, রাশেদ উদ্দিন, রতন চক্রবর্তী, মো. শহীদুল্লাহ, মো. নাসিম প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ