বিদেশী পর্যটক কমেছে, ভরসা অনাবাসী বাংলাদেশি

সমূদ্র সৈকত
সমূদ্র সৈকত  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বলছে, দেশে বিদেশি পর্যটকদের আসার হার কমছে তবে অনাবাসী বাংলাদেশি পর্যটকদের আসার হার বাড়ছে। আগে যে হারে বিদেশি পর্যটক আসতেন, এখন তা ধীরে ধীরে কমছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পর্যটক বাড়ে মাত্র ২ শতাংশ। যা পূর্বে বছর গুলোর তুলনায় ১১ গুণ কম।

গত বছর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বিবিএস-এর ‘ট্যুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট’ শীর্ষক প্রকাশিত ফল জরিপের এসব তথ্য উঠে আসে।

সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, দেশে পর্যটকের সংখ্যা ও ভ্রমণ ব্যয়ের পরিমাণ জানা ও জিডিপিতে
পর্যটন খাতের অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এ জরিপ করা হয়।

আরও পড়ুন:মদ্যপানে রুয়েট শিক্ষার্থী মুহিতের মৃত্যু

জরিপটিতে দেখা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে ১ লাখ ৬৬ হাজার বিদেশি পর্যটক আসেন। পরের অর্থবছরে এ সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ২৯ হাজার হয়। ২০১৭–১৮ অর্থবছর বিদেশি পর্যটক আরও বেড়ে ২ লাখ ৮৫ হাজারে ওঠে। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদেশি পর্যটক বেড়ে ২ লাখ ৯১ হাজার যা কেবল মাত্র ২ শতাংশ। অথচ এর আগের বছরগুলোতে পর্যটক বৃদ্ধি পায় ২৫ শতাংশের ওপরে।

বিবিএসের জরিপ আরো বলা হয়েছে, বিদেশি পর্যটক আসার প্রবণতা কমলেও অনাবাসী বাংলাদেশিদের আসার হার বাড়ছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৯ লাখ ১৮ হাজার অনাবাসী বাংলাদেশি নিজ দেশে এসেছিলেন। দুই বছর পর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সে সংখ্যা বেড়ে ১৩ লাখ ৫১ হাজারে ওঠে।

আরও পড়ুন:কেন্দ্রের অনিচ্ছায় আটকে আছে হল সম্মেলন

সব মিলিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে মোট ১৬ লাখ ৪০ হাজার পর্যটক আসে। ১৩ লাখ ৫০ হাজার অনাবাসী বাংলাদেশি। বাকি ২ লাখ ৯১ হাজার হলো বিদেশি পর্যটক। তবে এই বিদেশি পর্যটকদের ৭২ শতাংশ উড়োজাহাজে করে এসেছেন। অন্যদিকে অনাবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ এসেছেন উড়োজাহাজে। বাকি ৫ শতাংশ স্থলবন্দর দিয়ে।

প্রসঙ্গত, মহামারী আসার ঠিক আগে পাঁচ হাজার খানার ওপর জরিপটি করেছে বিবিএস। এর মধ্যে শহরাঞ্চলের ২ হাজার ৩৯০টি খানা এবং গ্রামাঞ্চলের ২ হাজার ৬১০টি খানা রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ