প্রতিটি আলাপ মনে রাখবে চ্যাটজিপিটি, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

  © সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি এখন থেকে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে হওয়া প্রতিটি আলাপ মনে রাখতে পারবে। সম্প্রতি ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের আরও ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও প্রাসঙ্গিক সেবা দিতে পারবে চ্যাটজিপিটি। তবে এতে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

চ্যাটজিপিটির ‘মেমোরি’ বা স্মৃতিশক্তি এর আগেও ধাপে ধাপে উন্নত করা হয়েছিল। এত দিন পর্যন্ত এটি কেবল কয়েক সপ্তাহের আলোচনার তথ্য মনে রাখত। কিন্তু এখন থেকে সেই সীমাবদ্ধতা থাকছে না। ফলে আগের আলাপের ভিত্তিতে সময় ব্যবস্থাপনা, আত্মউন্নয়নমূলক পরামর্শ বা চলমান কোনো বিষয়ের ধারাবাহিক আলোচনা করা সহজ হবে।

তবে নতুন এই ফিচারটি এখনো পুরোপুরি সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। এটি প্রথমে শুধু প্রিমিয়াম গ্রাহকদের—অর্থাৎ প্রো ও প্লাস সংস্করণের ব্যবহারকারীদের জন্য চালু করা হচ্ছে। পরবর্তীতে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের জন্যও ধাপে ধাপে চালু হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতের সুপার এআই প্রযুক্তিতে এ ধরনের ‘অসীম স্মৃতি’ একটি সাধারণ ফিচার হয়ে যাবে। এখন কেবল তার সূচনা দেখা যাচ্ছে।

তবে স্মৃতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীদের সতর্কতাও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, চ্যাটজিপিটি একটি ব্যক্তিগত বা সম্পূর্ণ গোপন প্ল্যাটফর্ম নয়। আলাদা করে অপ্ট-আউট না করলে ব্যবহারকারীর কথোপকথন এআই প্রশিক্ষণের উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

এ ছাড়া ডিভাইসে অন্য কেউ প্রবেশ করলে সহজ একটি প্রম্পট দিয়েই ব্যবহারকারীর সংবেদনশীল তথ্য জানা সম্ভব হতে পারে, যেহেতু চ্যাটজিপিটি এখন আলাপ ইতিহাস মনে রাখতে সক্ষম। ফলে অনেকেই পরামর্শ দিচ্ছেন—ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ারের আগে যেন একটি পাসকোড চাওয়া হয়।

তবে এ সুবিধা চাইলে বন্ধ করা সম্ভব। এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে—

১. চ্যাটজিপিটি অ্যাপটি চালু করুন।

২. উপরের বাম পাশে (কিংবা কিছু ডিভাইসে নিচের ডান পাশে) থাকা মেনু আইকনে ট্যাপ করুন।

৩. মেনু থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট অপশনে প্রবেশ করুন, যাতে সেটিংস পেজ খুলে যায়।

৪. ‘পারসোনালাইজেশন’ অপশনে যান।

৫. সেখান থেকে ‘মেমোরি’ অপশনটি নির্বাচন করুন।

৬. এরপর ‘রেফারেন্স সেভড মেমোরি’ টগলটি বন্ধ করে দিন।

তবে যদি কেউ মেমোরি চালু রেখেও নির্দিষ্ট কোনো আলাপ সংরক্ষণ করতে না চান, তাহলে একটি টেম্পোরারি চ্যাট শুরু করতে পারেন। এতে করে সেই চ্যাটটি আলাদাভাবে রাখা হবে এবং নিয়মিত স্মৃতিতে সংরক্ষিত হবে না। তবে মনে রাখতে হবে, ওপেনএআই এমন চ্যাটও সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারে।

সূত্র: লাইফ হ্যাকার


সর্বশেষ সংবাদ