অনার্স-মাস্টার্সে ফার্স্ট মীর্যা গালিবকে নিতে হবে—এমন চিন্তায় বিজ্ঞপ্তিই দেয়নি ঢাবি!

নিউইয়র্কের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মীর্যা গালিব
নিউইয়র্কের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মীর্যা গালিব  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নিজ বিভাগে অনার্স-মাস্টার্সে ফার্স্ট ছিলেন মীর্যা গালিব। তবে ভালো ফলাফলের কারণে তাকে বিভাগে নিয়োগ দিতে হবে, এমন চিন্তা থেকে কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিই প্রকাশ করেনি। সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনে এক টকশোতে এসব কথা বলেছেন তিনি।

জানা গেছে, রাজনৈতিক কারণে কর্তৃপক্ষ এমন অবস্থান নেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ পাননি মীর্যা গালিব। পরে তিনি চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে পিএইচডি শেষ করে যোগদান করেন শিক্ষকতায়।

বর্তমানে মীর্যা গালিব যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন। পরে কেন্দ্রীয় কমিটিতেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্রশিবিরের সদস্য ছিলেন তিনি।

টকশোতে মীর্যা গালিব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দারুন সময় কেটেছে। আমার সামনে অপশন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে বাইরে পিএইচডি করতে যাওয়ার। আরেকটা অপশন ছিল একেবারে চলে যাব। তবে রাজনৈতিক কিছু কারণ ছিল। আমি যখন পাস করে বের হয়েছি, তখন সার্কুলারই দেয়নি। কারণ আমি আবেদন করলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় তারা নিতে আগ্রহী না। তখন আওয়ামী লীগ সরকার চলে এসেছে।

আরো পড়ুন: ঢাবির আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

তিনি বলেন, আমার যখন মনে হয়েছে, নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব থাকবে- তখন বাইরে আবেদন করা শুরু করি। পিএইচডির সুযোগ পেয়ে চলে গেছি। আমার বিভাগের কালচার ছিল, অনার্স ও মাস্টার্সে ভালো ফল থাকলে শিক্ষক হন। সে বিবেচনায় আমি আবেদন করলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতাম। তবে তখনকার রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে নিতে আগ্রহী ছিল না। যখন পিএইচডি শেষ করেছি, তখন দেশ গণতন্ত্র থেকে ফ্যাসিবাদের দিকে হাটতে শুরু করেছে। পরে আর আবেদন করিনি।

এখন সুযোগ পেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করবেন কিনা, জানতে চাইলে মীর্যা গালিব বলেন, আমার বিদেশে স্থায়ী হওয়ার ইচ্ছা ছিল না। ফিরে আসার প্রসঙ্গ তো থাকেই। এটা সম্ভাবনা। তবে এখনই ফিরব, এটি চিন্তা করার বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার জীবনের দারুন সময় কেটেছে।


সর্বশেষ সংবাদ