বুয়েট-মেডিকেলে চান্স পাওয়া সুদীপ্ত এবার ঢাবিতে ৯ম

সুদীপ্ত পোদ্দার
সুদীপ্ত পোদ্দার  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞান ইউনিটে নবম স্থান অধিকার করেছেন সুদীপ্ত পোদ্দার। এর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায় ৩য় স্থান অর্জন করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ৩টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরি ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

সুদীপ্তের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার বেড়া থানার মাশুমদিয়াতে। তার বাবা প্রবীর কুমার পোদ্দার। মা মিতু পোদ্দার।তার বাবা একজন ব্যবসায়ী। সুদীপ্ত ২য় শ্রেণি পর্যন্ত তার গ্রামের স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। এরপর ভর্তি হন পাবনা জেলা স্কুলে। সেখান থেকে মাধ্যমিক শেষ করেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ। সেখানে থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

এ বিষয়ে সুদীপ্ত দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঈশ্বরের অসীম কৃপায় আমি ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ৯ম হয়েছি। এছাড়া বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় ৩য়, সিকেরুয়েটে ৮ম এবং এমআইএসটি ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ৩য় স্থান অধিকার করি ৷ এছাড়াও আমি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই ৷

তিনি বলেন, আমার পড়াশোনায় ভালো করার পেছনে ছোটদিদির প্রেরণা হয়তো সবচেয়ে বেশি ৷ এছাড়াও আমার সকল শিক্ষক আমাকে সবসময় সহায়তা করেছেন ও অণুপ্রেরণা দিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করার ক্ষেত্রে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভর্তিচ্ছুদের পরামর্শ দিয়ে সুদীপ্ত বলেন, আমার অনুজদের উদ্দেশ্যে আমার পরামর্শ থাকবে একাদশ দ্বাদশ শ্রেণি থেকে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়কে মাথায় রেখে পড়াশোনা করতে হবে। এক্ষেত্রে মূল বইয়ের উপরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে ৷ অনেক বেশি প্র্যাক্টিস করতে হবে। যা তোমার সময় ম্যানেজমেন্ট ও ইফসিএয়েন্সি বাড়াতে সাহায্য করবে ৷

তিনি বলেন, আমি নিজে কখনো ঘড়ি ধরে পড়িনি। কোনো বিষয়ে যত সময়ই লাগুক, চেষ্টা করেছি সেটা ভালোমতো বুঝে পড়ার, প্রয়োজনে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়েছি ৷ এছাড়াও একটা ভালো বন্ধু পড়াশোনায় অনেকটা সাহায্য করে। যেমন- কোনো গণিত বা কন্সেপ্ট বুঝতে না পারলেই আমি আমার বন্ধুদের সাহায্য নিয়েছি। তারা সবসময় আমাকে সাহায্য ও প্রেরণা দিয়েছে ৷

বিজ্ঞান ইউনিটে মোট আসন ১ হাজার ৮৫১টি।  তার মধ্যে মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৫১টি, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১ হাজার ৭৭৫টি, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। 


সর্বশেষ সংবাদ