মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য অশনিসংকেত: সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের লোগো
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের লোগো  © সংগৃহীত

বাংলা নববর্ষের উদ্‌যাপনে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার নতুন নামকরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পাল্টানোর সিদ্ধান্তকে মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য অশনিসংকেত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করার কথা জানানো হয়।  

এর প্রতিবাদ জানিয়ে পাঠানো সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে দ্রোহের মশাল জ্বেলে যে শোভাযাত্রার শুরু, তাতে দেশের মানুষ একাত্ম হয়েছিলেন। সাম্প্রদায়িক–মৌলবাদী গোষ্ঠীর কাছে নতজানু হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করা মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য অশনিসংকেত।

আরও পড়ুন: এবার যেমন হবে ছায়ানটের বর্ষবরণ আয়োজন

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিনের যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের এক অন্যান্য প্রতিচ্ছবি এই মঙ্গল শোভাযাত্রা, যেখানে সব ধর্ম-বর্ণ-জাতিনির্বিশেষে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।’

এর বিপরীতে বারবার মৌলবাদী শক্তি ও শাসকশ্রেণির নানা কূটকৌশল এ আয়োজনের গণচরিত্রে ফাটল ধরানোর অপচেষ্টা করে আসছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিগত কর্তৃত্ববাদী শাসনের আমলেও আমরা দেখেছি, এই শোভাযাত্রার প্রতিবাদী চরিত্রকে হরণ করা হয়েছিল। অভ্যুত্থান–পরবর্তী এ বছর বর্ষবরণ আরও যেকোনো সময়ের তুলনায় প্রাণবন্ত হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু শুরু থেকে চারুকলা অনুষদের স্বতন্ত্র এ আয়োজনে সরকার হস্তক্ষেপ করছে, যার দরুন মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা আয়োজন থেকে তাঁদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’

সর্বশেষ নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্তও সেই হস্তক্ষেপের অংশ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের জনতুষ্টিবাদী রাজনীতির প্রতিফলন মন্তব্য করে অবিলম্বে নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।


সর্বশেষ সংবাদ