যে কারণে উপদেষ্টা থেকে আসিফ নজরুলকে সরে দাঁড়াতে বললেন জবি ছাত্রী খাদিজা

খাদিজাতুল কোবরা
খাদিজাতুল কোবরা  © টিডিসি ফটো

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ৬ মাস পরও জুলাই আন্দোলনে আহত ও নিহতদের বিচার নিশ্চিত করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সোয়া এক বছর জেলে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নারী শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। এর ব্যর্থতার দায় নিয়ে তাকে দায়িত্ব থেকেও সরে দাঁড়াতে বলছেন তিনি।

আজ শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মাঠে শাখা ছাত্রদল আয়োজিত বই মেলা উদ্বোধন ও আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা তিনি বলেন।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, আজকে সরকারের পতন হয়েছে ৬ মাস। এতকিছুর প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আমরা দেখছি কারও কোনো ধরনের বিচার হচ্ছে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হচ্ছে না। আমার মামলা শেষ হয়েছে অনেক আগেই, কিন্তু অন্যরা এখনও কোর্টে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যেগুলো প্রমাণ আছে, এভিডেন্ট রয়েছে সেগুলোর বিচার করা দরকার। আমরা আজকে সরকারের উপদেষ্টাদের বসিয়েছি, আসিফ নজরুল স্যার যদি বিচারগুলো করতে না পারেন, তাহলে স্যার আপনি নেমে যান। যেখানে ৮ বছরের একটা মেয়েকে ধর্ষণ করা হলো, সেটা নিয়ে কেউ কোন কথা বলছেনা।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার নৃশংসতার যদি কোন উৎকৃষ্ট উদাহরণ থেকে থাকে হয়ত তার মধ্যে অন্যতম আমি। কারণ বিনা দোষে, কোন কিছু না করে, কোন কিছু না বলে পনেরো মাস আমি জেল খেটেছি। হয়ত ফ্যাসিস্ট একটা উদাহরণ তৈরি করেছিল আমাকে দিয়ে যে, তুমি মেয়ে হও আর যাই হও, শিক্ষার্থী হলেও আমার বিরুদ্ধে কথা বললে তোমাকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। 

তিনি বলেন, ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে মেজর দেলোয়ারের সাথে একটা লাইভ করি। সেখানে স্বাভাবিক ৬ থেকে ৭টা প্রশ্ন করি, তিনি (মেজর দেলোয়ার) শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বলেন। তারপরেও মামলা হয়নি। দুই বছর পর অনেক ঝামেলা করে, মামলা অনেক বড় করে আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। 

তিনি বলেন, বিএনপির অনেক নেত্রী ছিল জেলখানায় আমার সঙ্গে, তাদেরকে এখানে দেখছি না। তারা দেখেছে আমাকে কতটা মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছে। আইনের দিক থেকে, সবদিক থেকে বিএনপির অনেক নেতৃবৃন্দ আমাকে নিয়ে কথা বলেছে তাদেরকেও ধন্যবাদ। 

নারী দিবসের প্রসঙ্গ টেনে খাদিজাতুল কুবরা বলেন, আজকে যে নারী দিবসের কথা, আমরা সমতা চাই, অধিকার চাই। কিন্তু কোন দিক থেকে চাই? সমতা মানে এই না যে, আমি নারী পুরুষ বাইরে যেটা শো (দেখাতে) পারছে, আমি সেটা পারব। দুঃখিত আমার কথায় যদি কারও ব্যক্তিত্বে আঘাত লাগে। আমাদের নারীদের ইসলামে অনেক উপরের স্থান দেওয়া হয়েছে। আমরা সমতা চই, অধিকার চাই ঠিক আছে। আমরা আমাদের কোটা বাতিল করেছি। কিন্তু আমরা সমধিকার কথাটাকে অন্যদিকে নেব না, সেটিকে আমরা যথাযথভাবে কাজে প্রয়োগ করব।


সর্বশেষ সংবাদ