আন্দোলনে নিহত পারভেজের দাফন সম্পন্ন

আন্দোলনে নিহত পারভেজ
আন্দোলনে নিহত পারভেজ  © সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন মো. পারভেজ নামে এক যুবক। ঘটনার ৪০ দিন পর অবশেষে ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানী ঢাকা কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম মোস্তফা মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, পারভেজ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের মিন্নত হাজি বাড়ির নবী উল্যার বড় ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি থাই গ্লাসের দোকানে কাজ করতেন। মিরপুর এলাকায় ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ নিহত পারভেজের দাফন সম্পন্ন হয়েছে নিজ এলাকায় শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায়।

পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলা

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা মিরপুর ১০ নাম্বার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পারভেজ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পারভেজরা মোট পাঁচ ভাই-বোন। পারভেজ বড় হওয়ায় তার উপার্জনেই চলত সংসার।

পারভেজের অকাল মৃত্যুতে দিশেহারা পারভেজের মা বলেন, আমার কলিজার টুকরা মানিক আমাকে ছেড়ে চলে গেল। আমার পারভেজের আয় দিয়ে আমাদের সংসার চলত। এখন আমি আমার অন্য ছেলে-মেয়ে আর মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীকে নিয়ে কী করব?

ঢাকার কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম মোস্তফা বলেন,শহীদ সোহরাওয়র্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পারভেজের মরদেহটি পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ