শাহবাগ-ফার্মগেটসহ রাজধানীর ১৭ পয়েন্টে সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

রাজধানীর ১৭টি পয়েন্টে অবরোধ করে আন্দোলন করছে কোটা সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর ১৭টি পয়েন্টে অবরোধ করে আন্দোলন করছে কোটা সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর শাহবাগ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেটের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, আগারগাঁও, মহাখালীসহ মোট ১৭টি এলাকার সড়ক অবরোধ করেছে চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রত্যাশীরা। এতে রাজধানীর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বুধবার (১০ জুলাই) পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল নিয়ে সড়কে অবস্থান নেন। সকাল ১১টার পর থেকে বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন কোটা সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’; ‘কোটা ছেড়ে কলম ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’; ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কামব্যাক’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এর আগে, এদিন সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ৪ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

দুই শিক্ষার্থীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, প্রধান বিচারপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের নির্দেশনা দিয়েছেন যেন তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে ক্লাসে ফিরিয়ে নেন। একইসঙ্গে তিনি ক্যাম্পাসগুলোতে উপাচার্যদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে অনুরোধ করেছেন।

এর আগে সকালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে দুই আবেদনের শুনানির জন্য বেলা সাড়ে ১১টা নির্ধারণ করা হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ সময় নির্ধারণ করেন।

শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আমাদের রাষ্ট্রপক্ষেরও একটি আবেদন আবেদন রয়েছে। দুটি আবেদন একসঙ্গে সাড়ে ১১টায় শুনানি হলে ভালো হয়। তখন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য বেলা সাড়ে ১১টা নির্ধারণ করেন।

মঙ্গলবার সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী আবেদন করেন।

দুই শিক্ষার্থী হলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান। 

পরে আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতির আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। শুধু এ মামলার শুনানির দিন ধার্যের জন্য মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতির আদালত বসেছিলেন।

 

সর্বশেষ সংবাদ