ছাত্রলীগের কমিটিতে জামায়াত-বিএনপির অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২১ নেতার পদত্যাগ

  © লোগো

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগের সদ্যগঠিত কমিটি থেকে জামায়াত-বিএনপি এবং অছাত্রদের পদ ও পদবি দেয়ার প্রতিবাদে ১৭ জন পদধারীসহ ২১ জন ছাত্রলীগ নেতা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। জামায়াত-বিএনপি এবং অছাত্রদের পদ-পদবি দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে তারা পদত্যাগ করেন।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে মুছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পদত্যাগকারী এসব নেতারা লিখিত ভাবে তাদের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারা মুছাপুর ইউনিয়ন কমিটি ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের পদপ্রাপ্ত নেতা।

পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- মুছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম শান্ত, মো. অপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মাজেদ, তাহসিন প্রান্ত, ১নং ওয়ার্ড সভাপতি জিল্লুর রহমান আশ্রাফ, সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ড সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, সম্পাদক রোহান শাহরিয়ার, ৩নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক নাঈম হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি তানজিমুল হক সৌরভ, সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রান্ত, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি মামুন মির্জা, সম্পাদক নিরব, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি আসিফ হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি নাঈম মাহমুদ, ৯নং ওয়ার্ড সম্পাদক নুর করিম আলামিন, পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ কর্মী মিজানুর রহমান সোহাগ, আরাফাত হোসেন আরমান, জুনায়েদ আল মামুন নিসাত, আশিকুল ইসলাম, আবদুল কাদের।

আরও পড়ুন: বেকার হওয়ার শঙ্কায় বঙ্গবাজারের ৫০ হাজার শ্রমিক

পদত্যাগকারী এসব নেতারা অভিযোগ করেন যে , নবগঠিত মুছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এবং ৯টি ওয়ার্ডে জামায়াত-বিএনপি এবং অশিক্ষিত-অছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদ্য গঠিত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন রাহাত এর কোনও ছাত্রত্ব নেই। এছাড়াও তার মাধ্যমিক পাশেরই কোনও সনদপত্র নেই বলে দাবি করেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন রাহাত বলেন, আমার শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয় উপজেলার নেতাদের কাছ থেকে জেনে নিন। পরে আর কোনও কথা না বলেই ফোনটি কেটে দেন।  

অন্যদিকে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াছ কাঞ্চন জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যাচাই-বাছাই করে এ কমিটি করেছেন। একটি কুচক্রী মহল পদবঞ্চিতদের সঙ্গে একজোট হয়ে এখন অপপ্রচার চালাচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ