ইউটিউব দেখে আনার চাষে সফল কলেজছাত্র ফয়সাল

আনোয়ার হোসেন ফয়সাল
আনোয়ার হোসেন ফয়সাল  © সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের ষাইটকাহন গ্রামের কলেজ পড়ুয়া যুবক আনোয়ার হোসেন ফয়সাল। তিনি ষাইটকাহন গ্রামের রায়হান উদ্দিনের ছেলে। ইউটিউব দেখে আনার চাষে আগ্রহী হন পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়সাল। ফয়সালের এমন সফলতার গল্প এখন এলাকাবসীর মুখে মুখে। তার দেখাদেখি আনার চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেকে।

লেখাপড়ার পাশাপাশি কৃষিকাজে বরাবরই আগ্রহ ছিল ফয়সালের। ইউটিউব দেখে বাড়ির পাশে পৈতৃক অনাবাদি এক একর জমিতে ১৫০টি ভারতীয় সুপার বাগুয়া জাতের আনারের চারা দিয়ে শুরু করেন স্বপ্নের প্রকল্প। মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে প্রতিটি গাছে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ফল। আর তিন মাস পর থেকেই শুরু হবে ফল সংগ্রহ। বাগান তৈরিতে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান ফয়সাল। গাছ পরিপূর্ণ হলে প্রতিবছর বড় অঙ্কের অর্থ আয় করতে পারবেন বলে তার আশা।

আরও পড়ুন: ঝড়ে উপড়ে গেছে বিজ্ঞানী নিউটনের সেই আপেল গাছ!

ফয়সাল বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু একটা করার ইচ্ছে ছিল অনেক দিন ধরে। ইউটিউবে আনার চাষ দেখে আমার ভালো লাগে। তাই স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বাবার পতিত ৩৫ একর জমিতে আনার চাষ শুরু করি। ১৫০টি গাছ রোপণ করি ৬ মাস আগে। এখন প্রতিটি গাছে ফুল এবং ফল ধরেছে।

তিনি বলেন, বছরে তিনবার আনার তোলা যাবে। এ পর্যন্ত তার সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছ। উৎপাদন শুরু হলে প্রতিবছর ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার আনার বিক্রি করা যাবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ছাইফুল আলম বলেন, ফয়সাল অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। তার বাগানে আনার পুষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে ফলন ভালো হবে। তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ