রমজানে স্বল্পমূল্যে খেজুর বিক্রি করছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী জুবায়ের
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৫ AM , আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৫ AM

রমজান মাসে দেশীয় বাজারে দ্রব্যমূল্যে অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম দেশে রমজানে ব্যবসায়ীদের কম মুনাফা লাভের প্রবণতা দেখা গেলেও বাংলাদেশে ঠিক বিপরীত বিপরীত অবস্থা লক্ষ্য করা যায়। এবছর সরকার খেজুরে আমদানি শুল্ককর হ্রাস করলেও সেই অনুযায়ী বাজারে দাম কমেনি। খেজুরের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় মিলছে না স্বল্পমূল্যের খেজুর।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মানুষের মাঝে সুলভ মূল্যে খেজুর পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। তিনি ২১-২২ সেশনের অর্থনীতি বিভাগ পড়াশোনা করছেন। এই উদ্যোগে জুবায়েরের সহযোগী ঢাকা কলেজ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী অনিক। দুই বন্ধু মিলে যৌথভাবে সাধারণ মানুষের কাছে স্বল্পমূল্যে খেজুর পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
তিনি রমজান মাসে প্রতিদিন দুপুর ২ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হলের সামনে ভ্রাম্যমাণ দোকানে খেজুর বিক্রি করেন। প্রচলিত বর্তমান বাজারের মূল্য থেকে ৬০-২০০ টাকা পর্যন্ত কম দামে তারা খেজুর বিক্রি করছেন। জিহাদী ও মেডজুয়েল খেজুর বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। অন্যদিকে নতুন এই উদ্যোক্তা কেজিতে ২২০ টাকা এবং ৬০০ টাকায় খেজুর বিক্রি করছেন।
পড়ালেখার পাশাপাশি জুবায়েরের রয়েছে নীলক্ষেতে ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ বইয়ের দোকান। সেখানে সপ্তাহে কয়েকদিন পড়ুয়াদের কাছে বই বিক্রি করেন। তিনি অর্থনীতি বিভাগের জ্ঞানকে অধ্যয়নের পাশাপাশি বাস্তবে প্রয়োগের জন্য উদ্যোক্তা হতে চান।
রমজানে স্বল্পমূল্যে খেজুর বিক্রির উদ্যোগের বিষয়ে জুবায়ের আহমেদ বলেন, রমজানের আগে ভাবছিলাম বইয়ের ব্যবসার পাশাপাশি নতুন করে কি শুরু করা যায়, তারপর ভাবলাম রমজান উপলক্ষ্যে খেজুরের ব্যবসা শুরু করলে সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ রমজানে দেশে খেজুরের চাহিদা খুবই বেশি থাকে,এবং দাম থাকে অনেক বাড়তি। আমার লক্ষ্য ছিল কীভাবে সুলভ মূল্যে ক্রেতাদের কাছে খেজুর পৌঁছে দেওয়া যায়। এই বিবেচনা থেকেই আমি খেজুরের ব্যবসা শুরু করেছি এবং খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি ক্রেতাদের কাছ থেকে।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আমি মূলত খেজুর ক্রয় করি বাদামতলী থেকে। আমার বর্তমানে ক্রয় বিক্রয় খুব ভালো যাচ্ছে। কম দামে খেজুর বিক্রি করায় মানুষের অনেক দোয়া পাচ্ছি। যখন মানুষ দোয়া দেয় তখন মনে হয় আমি ব্যবসায় সফল।এই বিষয়টিতে আমার খুব ভালো লাগা কাজ করে। প্রথম রমজানে আমি বিক্রি করেছিলাম হাফ কেজি। তবে দ্বিতীয় দিনে ২০ কেজি এরপর তৃতীয় দিন ৩০ কেজি এভাবে এখন কম দামে বিক্রি করায় প্রতিদিন পূর্বের থেকে বেশি বেশি বিক্রি হচ্ছে।