রমজানে ক্যাম্পাসে খাবারের মান বৃদ্ধিতে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের স্মারকলিপি

স্মারকলিপি দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা
স্মারকলিপি দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

ঢাকা কলেজের আবাসিক হলে স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসে অবস্থিত খাবারের দোকানগুলোতে খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়াসহ সাত দফা দাবিতে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে কলেজ শাখা ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘ঢাকা কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থীরা পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন করছে। রোজার সময় স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দুঃখের বিষয়, হলের বর্তমান খাবারের মান নিম্নমানের, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা কলেজ শাখার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, রমজান মাসে শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের মান উন্নত করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হোক।’ 

খাবারের মানোন্নয়নে স্মারকলিপির বিষয়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিল্লাদ হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদল ইতিবাচকভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল প্রয়োজনে পাশে থাকবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করেছি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে আসছে, বলছে তাদের সমস্যার কথা, আমরা যেসব সমস্যাগুলো নোট করেছি।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যেহেতু সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করি তাই তাদের দাবিগুলো একত্রিত করে কলেজ প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছি। কলেজ প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন ক্যাম্পাসের হোটেলগুলোতে একটা নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর থেকে বেশি দাম নিলে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।’

ক্যাম্পাসে খাবারের মানোন্নয়নের ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ৭ দফা দাবিসমূহ হল: ১. খাবারের মান ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত পরিদর্শন চালু করা, ২. মেনুতে বৈচিত্র্য আনা ও পুষ্টির মান বজায় রাখা, ৩. রান্নাঘর ও খাবার পরিবেশনের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, ৪. শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা, ৫. রোজাদার শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ বাড়ানো, ৬. কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের মান পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করার ব্যবস্থা নেওয়া এবং মনিটরিং কমিটির সাথে হল প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করা, ৭. কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত হোটেলগুলোতে খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা।


সর্বশেষ সংবাদ