ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের পর্দা নামবে আজ

  © সংগৃহীত

আজ ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম সেরা দুটি দল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হবে। এবার আরেকবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সামনে।

পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। তবে চলতি বিশ্বকাপ আসরের সেরা দল ভারত। রাউন্ড রবিন লিগ ও সেমিফাইনাল মিলিয়ে টানা ১০টি জয় তুলে নিয়েছে দলটি। অন্যদিকে অজিরা প্রথম দুটিতে হেরে যাওয়ার পর টানা আট ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে। তাই দুই দলের মধ্যে ফাইনালে যে তুমুল প্রতিযোগিতা অপেক্ষা করছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

দীর্ঘ ৪৭ ম্যাচের লড়াই শেষে দুই ফাইনালিস্ট পেয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। অনেকে মনে করছেন এটাই বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভালো ফাইনাল লাইনআপ। কারণ ভারতের এই দলটাকে যদি কেউ চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে তবে সেটা অস্ট্রেলিয়াই হতে চলেছে। অস্ট্রেলিয়া আটবার ফাইনালে উঠেছে, পাঁচবার শিরোপা জিতেছে। ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার মতো সফল ও তুখোড় দল আর দ্বিতীয়টি নেই। ২০ বছর আগের বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে এবার। 

২০০৩ সালে জোহানেসবার্গ ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া সেবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার ভারতের সামনে সেই হাতছানি। সেবার ভারত মাত্র দুটি ম্যাচ হেরেছিল, দুটিই অস্ট্রেলিয়ার কাছে। গ্রুপ পর্বে হারের পর ফাইনালেও অজিদের কাছে পরাজিত হন সৌরভরা। এবার গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে হেরেছে প্যাট কামিন্সের দল। আজ ফাইনালেও ফেভারিট হিসেবে নামছে স্বাগতিকরা। এমন মিল দেখার পরই প্রতিশোধের হিসাব-নিকাশটা বাড়তে শুরু করেছে।  

সেবার দুই দল খেলেছিল নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। এবার লড়াইয়ের ময়দানটা ভারতের। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সোয়া লাখেরও বেশি দর্শক আজ বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখবেন, যার বেশির ভাগই কিন্তু গলা ফাটাবেন ভারতের হয়ে। সেই তুলনায় অজি সমর্থক থাকবেন মুষ্টিমেয়। গ্যালারির লড়াইয়ে ভারতের জয় নিশ্চিতই। 

যদিও ভারতের এ বিপুল দর্শককে চুপ করিয়ে দিতে চান অজি দলনায়ক প্যাট কামিন্স। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘এটা পরিষ্কার যে দর্শক সমর্থন একপেশেই হবে। জানি, স্টেডিয়াম ফুলহাউজ হবে। প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শক ভারতকে সমর্থন করবে। কিন্তু বিশাল দর্শককে চুপ করিয়ে দেয়ার মতো সন্তোষজনক আর কিছু খেলায় নেই। আগামীকাল (আজ) সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ফাইনালের প্রতিটি অংশকেই আপনার মেনে নিতে হবে। এটা তো আগে থেকেই সবার জানা ছিল যে ফাইনালের দিন অনেক মানুষের শোরগোল হবে, যা আপনাকে অভিভূতই করে দেবে।’ 


সর্বশেষ সংবাদ