এশিয়া কাপের ফাইনালে ৫০ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৩ PM , আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫০ PM
মোহাম্মদ সিরাজের ঝড় চলছেই। তাতে লণ্ডভণ্ড শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ৪ রান খরচ করে ফাইফার বা ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন ভারতীয় এই পেসার। এখন পর্যন্ত ৭ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট।অন্যদিকে ৫০ রান তুলতেই ১০ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। অথচ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতেছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কে জানতো, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এমন হাল হবে লঙ্কানদের।
এশিয়া কাপের ফাইনালে বড় প্রত্যাশা নিয়ে শুরুতে ব্যাটিং নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ব্যাট করতে নামতেই তাদের শুরুটা হলো দুঃস্বপ্নের মতো। এক ওভারের গতি ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইন আপ। পেসার মোহাম্মদ সিরাজ চতুর্থ ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে শুরুতেই স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছেন।
ষষ্ঠ ওভারে আবার আঘাত করে তুলে নিয়েছেন ম্যাচের পঞ্চম উইকেট। তাতে ১২ রানে পড়ে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট। মাঝে কুশল মেন্ডিস প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলে তাকেও বোল্ড করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কা সবশেষ তিন উইকেট হারায় হার্দিক পান্ডিয়ার কাছে। সবশেষে ১৫.২ ওভারে ৫০ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক লায়নরা।
ফাইনালের মতো মঞ্চে এমন সূচনা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। কিন্তু ভারতের পেসারদের সামনে লঙ্কানরা শুরুতে দাঁড়াতেই পারেনি। তৃতীয় বলে কুশল পেরেরাকে শূন্যরানে গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন জসপ্রীত বুমরা। তার পর চতুর্থ ওভারে সিরাজ বোলিংয়ে এলে হতশ্রী হয়ে পড়ে লঙ্কানদের ব্যাটিং। প্রথম বলে পাথুম নিসাঙ্কাকে (২) তালুবন্দি করিয়েছেন।
এক বল বিরতি দিয়ে পর পর তুলে নিয়েছেন সাদিরা সামারাবিক্রমা (০) ও চারিথ আসালাঙ্কার উইকেট (০)। তাতে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জেগেছিল। সেটি হয়তো হয়নি। কিন্তু এক বল বিরতি দিয়ে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেট (৪) তুলে নিয়ে শুরুতেই লঙ্কানদের খাদের কিনারে ঠেলে দিয়েছেন তিনি। তাতে ১২ রানে পড়ে পঞ্চম উইকেট।
এক ওভার বিরতি দিয়ে আবার বল করতে এসে অধিনায়ক দাশুন শানাকাকে বোল্ড করেছেন সিরাজ। তাতে একই স্কোরে পড়েছে লঙ্কানদের ষষ্ঠ উইকেট। ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টায় কিছুক্ষণ আগলে থাকার চেষ্টা করেছেন কুশল মেন্ডিস। তাতে ভেল্লালাগের সঙ্গে মিলে ২১ রান যোগ করেছেন। কিন্তু শক্ত ছিল না সেই প্রতিরোধ। ৩৩ রানে মেন্ডিসকে বোল্ড করে সেই প্রতিরোধটাও ভেঙে দিয়েছেন সিরাজ। পরের ওভারে ভেল্লালাগেকে পান্ডিয়া ফিরিয়ে দিলে এটা নিশ্চিত হয়ে যায় যে শেষটা বেশি দূর গড়াচ্ছে না।
ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, লোকেল রাহুল, ইশান কিশান, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, জসপ্রিত বুমরা, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দাশুন শানাকা (অধিনায়ক), দুনিথ ভেল্লালাগে, দুশান হেমন্থ, মাথিশা পাথিরানা ও প্রমোদ মাদুশান।