ফখর জামানের ১৮০ রানের তাণ্ডবে পাকিস্তানের রেকর্ড জয়

ম্যাচসেরা বাঁহাতি ফখর ওপেনিংয়ে নেমে ১৮০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস
ম্যাচসেরা বাঁহাতি ফখর ওপেনিংয়ে নেমে ১৮০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস  © সংগৃহীত

পাকিস্তানের মাটিতে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ পুঁজি পেয়েও স্বাগতিকদের কাছে হারের স্বাদ পেতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডে বিরুদ্ধে রেকর্ড গড়ে জিতল পাকিস্তান। ম্যাচসেরা বাঁহাতি ফখর ওপেনিংয়ে নেমে ১৮০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবারই প্রথম তিনশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়া করে জিতল পাকিস্তান। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান এগিয়ে গেছে ২-০ ব্যবধানে।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাওয়ালপিন্ডিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রান তোলে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।

ড্যারেল মিচেলের সেঞ্চুরি ও টম ল্যাথামের অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা ইনিংসে নিউজিল্যান্ড বড় টার্গেট দিয়েছিল পাকিস্তানকে। রাওয়ালপিন্ডিতে জয় পেতে গড়তে হতো রান তাড়ায় নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এমন চাপের ম্যাচে হেসে-খেলে জয় পেয়েছে পাকিস্তান।

ফখর জামানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সঙ্গে অধিনায়ক বাবর জামান ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের অর্ধশতকে ভর করে ১০ বল বাকি রেখেই  ৩ উইকেটে ৩৩৭ রান করে জয় ছিনিয়ে এনেছে পাকিস্তান। 

ম্যাচসেরা বাঁহাতি ফখর ওপেনিংয়ে নেমে ১৮০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ১৪৪ বল মোকাবিলায় ১২৫ স্ট্রাইক রেটে তিনি ১৭টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। তার পাশাপাশি ব্যাট হাতে অবদান রাখেন বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনই করেন হাফসেঞ্চুরি। অধিনায়ক বাবর তিনে নেমে ৬৬ বলে ৬৫ রান করেন ৫টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে। পাঁচে নামা রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। ৪১ বলে ৬টি চার আসে তার ব্যাট থেকে।

সফরকারীদের পক্ষে মিচেল খেলেন ১২৯ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস। ১১৯ বল খেলে তিনি মারেন ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা। ২৩ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এটি তার টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে তৃতীয় সেঞ্চুরি। আগের ম্যাচে তিনি করেছিলেন ১১৩ রান। এদিন বাওয়েসের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৮০ বলে ৮৬ ও ল্যাথামের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৫৯ বলে ১৮৩ রানের জুটি গড়েন মিচেল।

বাওয়েস ৭টি চারে ৫১ বলে ৫১ রান করেন। অধিনায়ক ল্যাথামের ব্যাট থেকে ৮৫ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় আসে ৯৮ রান। হারিস ৪ উইকেট নিতে ১০ ওভারে দেন ৭৮ রান। নাসিম সমান ওভারে ১ উইকেট পান ৪৯ রান খরচায়।

এর আগে পাকিস্তান ২০০৩ সালে লাহোরে ২৯২ রানের লক্ষ্যে ১২ বল হাতে রেখে জিতেছিল ৩ উইকেটের ব্যবধানে। ওই ম্যাচে কিউইদের করা ৫ উইকেটে ২৯১ রান এতদিন ছিল পাকিস্তানের মাটিতে তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।


সর্বশেষ সংবাদ