৩০ শিক্ষার্থীকে পেটালেন প্রধান শিক্ষক, ইউএনওর কাছে বিচার দাবি

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

বিদ্যালয়ের বেতন পরিশোধ না করা সহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার খাতা কেড়ে নিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার (১৯ জুন) ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা পৌরসভার এম এম ওসমান মডেল স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে ও প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ জানায় শিক্ষার্থীরা।

পিটুনিতে আহত একাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে ভাঙ্গা থানার গেটের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা। এ সময় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও কারণে-অকারণে অশ্লীল ভাষায় কথা বলার অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা।

অভিভাবক এবং দশম শ্রেণির ছাত্র ফেরদৌস মিয়া, সোহান শেখ ও অনিক কাজী জানায়, সকালে পরীক্ষা দিতে স্কুলের ১ নম্বর কক্ষে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করার সময় প্রধান শিক্ষক এম এম ওসমান জোড়া বেত নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়ান। পরীক্ষা শুরুর সময় হলে শিক্ষক ওমর মোল্লা খাতাপত্র দিচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন: বন্ধ রয়েছে ঢাবির ৩৬ ট্রাস্ট ফান্ডের কার্যক্রম, বৃত্তি পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, হঠাৎ প্রধান শিক্ষক রুমে ঢুকে ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন অজুহাতে ও বেতন পরিশোধ করা হয়নি জানিয়ে খাতাপত্র কেড়ে নিয়ে পেটাতে থাকেন। এ সময় শিক্ষক ওমর মোল্লা বাধা দিলে তাঁকেও গালাগাল করেন। পরে তিনি কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। এক পর্যায়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীও পরীক্ষা না দিয়ে বের হয়ে যায়।

শিক্ষক ওমর মোল্লা বলেন, প্রধান শিক্ষককে বাধা দিলে তিনিও বকুনি ও বেতের বাড়ি খেয়েছেন। প্রায় ছয় মাস ধরে তিনি সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ ও অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। মারধরের প্রতিবাদ করলে অপমানিত হতে হয়। তিনি স্কুল থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানান।

প্রধান শিক্ষক এম এম ওসমানের বক্তব্য জানতে তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিনের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। একাডেমিক সুপারভাইজার প্রহ্লাদ বিশ্বাস জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বৈধ নয়। অভিভাবকরা ফোনে ঘটনাটি জানালে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

ইউএনও আজিম উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে চার-পাঁচজনের শরীরে রক্তের দাগসহ আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, হঠাৎ প্রধান শিক্ষক রুমে ঢুকে ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন অজুহাতে ও বেতন পরিশোধ করা হয়নি জানিয়ে খাতাপত্র কেড়ে নিয়ে পেটাতে থাকেন। এ সময় শিক্ষক ওমর মোল্লা বাধা দিলে তাঁকেও গালাগাল করেন। পরে তিনি কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। এক পর্যায়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীও পরীক্ষা না দিয়ে বের হয়ে যায়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence