ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ নিয়ে ইউরোপে উচ্চশিক্ষার সুযোগ

ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ
ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ  © সংগৃহীত

ইউরোপে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি  জনপ্রিয় স্কলারশিপ হলো ইরাসমুস মুন্ডুস। এই স্কলারশিপ এর মাধ্যমে ইউরোপে মাস্টার্স ও জয়েন্ট মাস্টার্সে অধ্যয়নের  সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ প্রোগ্রামকে ইউরোপের ফুলব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রামও বলা হয়ে থাকে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে  বিদেশী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। আবেদনের শেষ সময় মার্চ, ২০২৩।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ হলো ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স ও জয়েন্ট মাস্টার্সে অধ্যয়নের জন্য একটি প্রোগ্রাম। আগে জয়েন্ট পিএইচডি প্রোগ্রামটি থাকলেও বর্তমানে তা নেই। এর বদলে জয়েন্ট মাস্টার্স যেখানে আপনি প্রথম বর্ষে একটি দেশে এবং দ্বিতীয় বর্ষে অন্য আরেকটি দেশে ভিন্ন বিষয়ের ওপর পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন। দুটি দেশ থেকে আলাদা মাস্টার্স ডিগ্রির সার্টিফিকেট আপনাকে দেওয়া হবে। প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার জনকে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

প্রায় সকল শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন থাকে ইউরোপে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমানোর। তবে ইউরোপে উচ্চশিক্ষা ব্যয়বহুল হওয়ার অনেকে পিছেয়ে যায় এই স্বপ্ন থেকে। তবে এ সকল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে পড়াশোনার জন্য ইউরোপ আয়োজন করে থাকে ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপে। ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে একাডেমিক সহযোগিতার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার মান বাড়ানো।প্রায়  তিন’শর বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের ২৮৫ টি প্রোগ্রামে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী এবং  ১৫০০ জনের মতো পিএইচডি শিক্ষার্থী প্রতি বছর ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।

১৯৮৭ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপে কমপক্ষে ২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। এখানে প্রায় ১২০-এর অধিক কোর্স রয়েছে। এই প্রোগ্রামে  কাজের অভিজ্ঞতা, গবেষণাপত্র, কো-কারিকুলাম এক্টিভিটি থেকে শুরু করে সকল বিষয়েই গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে এই প্রোগ্রামে সর্বোচ্চ ৩টি বিষয়ে পড়াশুনা করা যায় । 

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে: 

এই স্কলারশিপে আপনি মাস্টার্স প্রোগ্রামে রয়েছে ১১৬টি কোর্স আর পিএইচডি-এ রয়েছে ১২৯টি কোর্স। এগ্রিকালচার, ভ্যাটেনারী, ইঞ্জিনিয়ারিং, মানুফাকচার ও কনস্ট্রাকশন, হেলথ ওলেথ ফেয়ার, হিউমানিটি, আর্টস, সাইন্স, মাথেমাটিক্স, কম্পিউটিং, সোশ্যাল সাইন্স, বিজনেস, ল’- এই সকল স্টাডি ফিল্ডে আপনি পড়াশুনা করতে পারবেন।

আবেদনের যোগ্যতা

• যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন
• মাস্টার্স ও জয়েন্ট মাস্টার্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন
• আবেদনকারীকে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে
• আবেদনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট জিপিএ নেই। যে কেউ আবেদন করতে পারবেন
• স্নাতকের ফলাফল অপেক্ষাকারী আবেদন করতে পারবেন
• যেকোনো বয়সের শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন 
• জিআরই অথবা জিম্যাট প্রয়োজন নেই
• আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ থাকতে হবে
• কাজের অভিজ্ঞতা লাগবে না

সুযোগ-সুবিধা

• টিউশন ফি
• মাসিক ১১০০-১২০০ ইউরো হাতখরচ
• ভ্রমণ ভাতা
• স্বাস্থ্য ভাতা
• আন্তর্জাতিক এয়ার টিকিট খরচ
• সেমিস্টার শেষে অন্য দেশে যাওয়ার খরচ
• পড়াশোনা শেষে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য জব ভিসা প্রদান
• পড়াশোনা শেষে নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার কোনো চাপ নেই 

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

• সিভি, ট্রান্সক্রিপ্ট, পাসপোর্ট
• জাতীয় পরিচয়পত্র
• অ্যাপ্লিকেশন ফরম
• ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সার্টিফিকেট
• দুটো রেকমেন্ডেশন লেটার
• স্টাডি কিংবা রিসার্চ প্ল্যান
• লেটার অব মোটিভেশন
• স্টেটমেন্ট অব রিসার্চ
• স্টেটমেন্ট অব ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসেট
• রেসিডেন্সি সার্টিফিকেট 

আবেদনের পদ্ধতি

• অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ইরাসমুস মুন্ডুস ক্যাটালগের তালিকা থাকবে।
• প্রোগ্রাম লিস্টে প্রতিটি প্রোগ্রামের নাম ও প্রজেক্ট লোকেশন দেওয়া থাকবে।
• নিজের পছন্দমতো প্রোগ্রাম সিলেক্ট করতে হবে। 

আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। 


সর্বশেষ সংবাদ