চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করার সুযোগ, বছরে থাকছে ৫ লাখ টাকা

চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করার সুযোগ
চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করার সুযোগ  © সংগৃহীত

বিদেশে উচ্চশিক্ষায় বর্তমানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের অন্যতম গন্তব্য হচ্ছে চীন। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সহজে ভর্তি এবং আকর্ষণীয় স্কলারশিপ। চীনের মিনিস্ট্রি অব ফাইন্যান্সের অর্থায়নে তেমনই একটি স্কলারশিপ হচ্ছে “মফকম” স্কলারশিপ।   

এই স্কলারশিপের আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে চীনের ২৬ টি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ অথবা ২ বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর এবং ৩ বছর মেয়াদি পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যায়নের সুযোগ দিচ্ছে চীন সরকার। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় ২০ মে ২০২৪। 

সুযোগ-সুবিধা 
* সম্পূর্ণ  টিউশন ফি প্রদান করবে। 
* স্নাতকোত্তরের জন্য বছরে ৩৬ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা)  ভাতা প্রদান করবে। 
* পিএইচডিতে ৪৮ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা) ভাতা প্রদান করবে। 
* স্থানান্তর ভাতা হিসেবে এককালীন ৩ হাজার ইউয়ান প্রদান করবে। 
* বিনামূল্যে ক্যাম্পাসে আবাসন সুবিধা প্রদান করবে।
* বই এবং ট্রেনিংসামগ্রী ভাতা প্রদান করবে। 
* গবেষণা সহায়তা প্রদান করবে। 
* মেডিকেল ইনস্যুরেন্স প্রদান করবে। 
* চীনে যাতায়াতের বিমান টিকিট প্রদান করবে। (১ বছরের বেশি সময়ের কোর্স হলে, প্রতিবছর একবার ভ্রমণের জন্য যাতায়াতের বিমান টিকিট)।

উল্লেখ্য, প্রথম বছরের পর বাৎসরিক রিভিউ হয় এবং সেখানে সন্তোষজনক ফল করলেই দ্বিতীয় বছরের জন্য স্কলারশিপ পান শিক্ষার্থীরা। 

সম্পূর্ণ বিনাখরচে স্নাতকোত্তর করুন অক্সফোর্ড-হার্ভার্ড-স্ট্যানফোর্ডসহ ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে

আবেদনের যোগ্যতাসমূহ
সরকারি কর্মচারী, রিসার্চ ফেলো এবং ব্যবস্থাপনা খাতে ৩ বছর কাজ করা এবং ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করা অভিজ্ঞ প্রফেশনালরা আবেদন করতে পারবে।

* বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
* বয়স ৪৫ বছরের কম হতে হবে। 
* আইইএলটিএস স্কোর ৬

প্রয়োজনীয় নথিপত্র
* পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
* পাসপোর্টের কপি।
* আবেদনকারীর জীবনবৃত্তান্ত/একাডেমিক সিভি। 
* স্টেটমেন্ট, গবেষণা প্রস্তাবনা এবং ক্যারিয়ার ভাবনা
* নোটারি কর্তৃক সত্যায়িত সব নম্বরপত্র এবং সার্টিফিকেট। 
* দুটি রিকমেন্ডেশন লেটার, এবং প্রফেশনাল রিকমেন্ডেশন
* ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র (আইইএলটিএস)
* ফরেন মেডিকেল সার্টিফিকেট।
* বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনপত্র। 
* স্কলারশিপের জন্য আবেদনপত্র (পূরণ করা)। 

আবেদন প্রক্রিয়া
স্কলারশিপের জন্য দুইভাবে আবেদন করা যায়। সংশ্লিষ্ট দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। আবার সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। দূতাবাসের স্কলারশিপ থাকে নির্দিষ্ট এবং প্রতিযোগিতামূলক। 

আরও পড়ুন: সম্পূর্ণ বিনাখরচে স্নাতকোত্তর করুন অক্সফোর্ড-হার্ভার্ড-স্ট্যানফোর্ডসহ ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে

আবার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু অনলাইনে আবেদন করলেই হয়, আবার কোথাও অনলাইনের আবেদনের সঙ্গে হার্ডকপিও পাঠাতে হয়। স্কলারশিপের আবেদন সংক্রান্ত সবকিছু ওয়েবপেজে উল্লেখ থাকে। 

আবেদন করতে এবং মফকম স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন  

 

সর্বশেষ সংবাদ