স্টুডেন্ট ভিসায় আরও কড়াকড়ি আরোপ করল অস্ট্রেলিয়া, বাড়ল ব্যাংক ব্যালান্স

অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা
অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা  © সংগৃহীত

উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপের দেশসমূহের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কাছে পছন্দের মধ্য অন্যতম দেশ অস্ট্রেলিয়া। পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগসহ নানাবিধ সুবিধার কারণে দেশটিতে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রতিবছর পাড়ি জমায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এর ফলে দিন দিন দেশটির জনসংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে জীবনযাত্রার ব্যয়। 

অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসানীতি আরও কঠোর করছে অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবার (১০ মে) থেকে স্টুডেন্ট ভিসার নিয়ম আরও কঠোর করছে দেশটির সরকার। গত সাত মাসের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ন্যূনতম ব্যাংক ব্যালান্সের পরিমাণ দ্বিতীয়বারের মতো বাড়ল।

অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষা ভিসার আবেদনে বাংলাদেশিদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ |  undefined

বুধবার (৮ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেকর্ড অভিবাসী আগমনের কারণে সুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সঞ্চয়ের পরিমাণ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। যা শুক্রবার (১০ মে) থেকে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নতুন নিয়মে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের এবার থেকে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১৯ হাজার ৫৭৬ মার্কিন ডলার) সঞ্চয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে। একই কারণে গত বছরের অক্টোবরে এই সঞ্চয়ের পরিমাণ ২১ হাজার ৪১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বাড়িয়ে ২৪ হাজার ৫০৫ ডলার করা হয়েছিল।এ ছাড়া কয়েকটি কলেজকে শিক্ষার্থী ভর্তিতে প্রতারণামূলক পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। 

এর আগে গত মার্চে অভিবাসনের মাত্রা কমিয়ে আনতে  অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ও গ্রাজুয়েট ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার স্কোর আরও বাড়ানোর নিয়ম করা হয়। সেই সঙ্গে বারবার নিয়ম ভঙ্গ করলে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করার আইন ও চালু করা হয়। 

আরও পড়ুন: পিএইচডি করুন নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে, মাসে থাকছে ২১ লাখ টাকা

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক শিক্ষা খাত অস্ট্রেলিয়ার আয়ের অন্যতম খাত। ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষে এ খাতের মূল্যমান ছিল ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। বেশি শিক্ষার্থী যাওয়ায় এমনটা ঘটেছে। এই অভিবাসনের ফলে বেড়েছে বাড়িভাড়া। অভিবাসীদের সংখ্যা ৬০ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ জনে। সরকার আশা করছে, তাদের নেওয়া নীতি আগামী দুই বছরে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসী গ্রহণের পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারবে।


সর্বশেষ সংবাদ