সিসিআই কার্যক্রমের আওতায় স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার সুযোগ

স্কলারশিপ
স্কলারশিপ  © প্রতীকী ছবি

২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কমিউনিটি কলেজ ইনিশিয়েটিভ (সিসিআই) কার্যক্রমের আওতায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে সিসিআই। এই কার্যক্রমে বাংলাদেশের স্নাতক শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আমেরিকান যেকোন একটি কমিউনিটি কলেজে পূর্ণকালীন এক শিক্ষাবর্ষে থাকতে শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করতে পারবেন। পড়াশোনা শেষে নতুন জ্ঞান, কারিগরি দক্ষতা ও বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা আবার দেশে ফিরে আসতে পারবেন।

যেসকল বিষয়ে আবেদন করা যাবে

কমিউনিটি কলেজ ইনিশিয়েটিভ কর্মসূচির অধীন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কমিউনিটি কলেজগুলোতে কৃষি, ফলিত প্রকৌশল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন, প্রাক্-শৈশব শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, গণমাধ্যম, সামাজিক সেবা, স্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তা এবং পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন।

 

শিক্ষার্থীদের জন্য যেসব সুবিধা রয়েছে: নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা জে-১ ভিসা পাবেন। এ ভিসার আওতায় সীমিত দুর্ঘটনা ও অসুস্থতাজনিত কাভারেজ দেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ দেশে যাতায়াতের জন্য রাউন্ড ট্রিপ ভ্রমণসুবিধা। রয়েছে আবাসন ও খাবার ব্যবস্থা। এছাড়া বই, শিক্ষা উপকরণ ও সাধারণ ব্যয়ের জন্য আর্থিক সুবিধা।

আবেদনের যোগ্যতা:

১। বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশের দ্বৈত নাগরিক বা স্থায়ী অভিবাসী হওয়া যাবে না।

২। ২০২৩ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৮ বছর।

৩। উচ্চমাধ্যমিক/এ লেভেল পর্যায়ের শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন অথবা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম থেকে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি আছেন।

৪। ইংরেজি ভাষায় লেখা ও কথা বলায় পারদর্শী হতে হবে এবং TOEFL স্কোর ৪২০ বা IELTS স্কোর ৫.০ পেতে সক্ষম হতে হবে। ইতিমধ্যে TOEFL বা IELTS-এর স্কোর থেকে থাকলে, সেটি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আবেদনের আগে ইংরেজি পরীক্ষার স্কোর থাকলে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় সুবিধা পাওয়া যাবে।

৫। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সমাজে বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে আগ্রহী ও সমর্থ হতে হবে।

৬। যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়ন বা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সীমিত বা নেই। বিদেশে অধ্যয়ন বা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা না থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন: অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবতার নিরিখে হতে হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান।

৭। যুক্তরাষ্ট্রের জে-১ ভিসা পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন এবং এ মর্যাদা বজায় রাখতে এ কার্যক্রমের শর্তাবলি পূরণ করতে হবে।

৮। কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশে ফিরতে এবং জে-১ ভিসার আবশ্যকতা অনুযায়ী দুই বছর দেশে থাকার শর্ত পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ।

৯। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিময় কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

১০। আবেদনকারী কোনো অভিযোগে গ্রেপ্তার হলে বা কখনো দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।


আবেদন প্রক্রিয়া: বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া ওয়েবসাইটের এই লিংক থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরাসরি বা কুরিয়ারে পাঠাতে হবে।

এছাড়া আবেদনকারীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বরপত্র/ও লেভেল এবং এ লেভেলের ট্রান্সক্রিপ্ট/গ্রেড শিট/বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ট্রান্সক্রিপ্ট (সর্বশেষটি) সংযুক্ত করতে হবে। সনদের প্রয়োজন নেই। শিক্ষকের কাছ থেকে নেওয়া ন্যূনতম একটি সুপারিশপত্র সংযুক্ত করতে হবে আবেদনে। এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও আবেদনকারীর পাসপোর্টের তথ্য পাতার ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: মুশফিক হাসান, দ্য আমেরিকান সেন্টার, ইউএস দূতাবাস অ্যানেক্স, জে ব্লক, প্রগতি সরণি, বারিধারা, মার্কিন দূতাবাস কার্যালয়ের বিপরীতে, ঢাকা-১২১২।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটার

বিস্তারিত তথ্যের জন্য দূতাবাসের সিসিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুশফিক হাসেনের HassanMX@State.gov.  ঠিকানায় ই-মেইল করা যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ