কৃষিগুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিতের দাবি ভর্তিচ্ছুদের

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

৮ সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফল পরবর্তী সব ধরনের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছদের একাংশ। ভর্তি কার্যক্রম স্থগি না করলে সময় বাড়ানোর দাবি তাদের। রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বরাবর স্মারকলিপিতে ভর্তিচ্ছুরা এসব দাবি জানান। 

শেকৃবি উপাচার্য বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে ভর্তিচ্ছুরা ভর্তি কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত ছাড়াও আরও একাধিক দাবি জানিয়েছেন। তাদের বাকি দাবিগুলো হলো- পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ও মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে; পরীক্ষাটির উত্তরপত্র প্রকাশ করতে হবে; পরীক্ষার ফলাফল নির্ণয়ে কোন ত্রুটি আছে কি না সে বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট পেশ করতে হবে।

নাহিদ হোসাইন নামে এক ভর্তিচ্ছু বলেন, এ ফলাফল মেনে নেয়া যায় না। পরীক্ষা দিয়ে মিলিয়ে দেখেছি ৭৪ আসে। কিন্তু রেজাল্টে সিরায়াল দেখায় ৯০২৩! এটা কিভাবে সম্ভব। এতোগুলো স্টুডেন্টের জীবন নিয়ে খেলতেছেন উনারা। প্রকাশিত এ ফলাফলে অসঙ্গতি রয়েছে। এ বাতিল করতে হবে অথবা পুনঃমূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।

এবারে পরীক্ষায় ২০১৭ সালের মাধ্যমিক ও ২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে চলতি বছরের আবেদন যোগ্য প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন। এবারে আবেদনের যোগ্যতা ছিল সর্বমোট ন্যূনতম ৮.৫। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইংরেজিতে ১০, প্রাণীবিজ্ঞান ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞান ১৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, রসায়ন ২০ ও গণিতে ২০ নম্বরের রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কৃষি গুচ্ছের উত্তরপত্র মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগ ভর্তিচ্ছুদের

এদিকে, ভর্তিচ্ছুদের স্মারকলিপির পর বসে নেই কর্তৃপক্ষ। শেকৃবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল নিরীক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ২০৪ নম্বর কক্ষে সশরীরে এসে আবেদন করতে হবে। 

আবেদনের সময় ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের ফটোকপি এবং নিরীক্ষা ফি বাবদ ১০০০ টাকা জমাদান দিতে হবে। আবেদনটি কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিব ও শেকৃবি রেজিস্ট্রার বরাবর সাদা কাগজে গ্রহণ করা হবে। এরপর ভর্তিচ্ছুদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এ পুনঃনিরীক্ষনের ফলাফল প্রকাশিত হবে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর কৃষিগুচ্ছের ফল প্রকাশের পর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাতালিকা ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিগ্রি/বিষয়সমূহের পছন্দক্রম/অপশন শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়। এটি আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নিয়ে যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি বা মেরিট লিস্টে এবং ওয়েট লিস্টে আসতে পারেনি তাদের মধ্যে নানারকম প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। আমার ধারণা ভর্তি পরীক্ষায় কীভাবে নম্বর প্রদান করা হয় তা নিয়ে একটা সমস্যা (ভুল ধারনা) থাকতে পারে। আমরা জিপিএর ভিত্তিতে মার্কস দেইনি, এটা নির্দেশিকাতে বলে দিয়েছি। বোর্ড আমাদেরকে পরীক্ষার্থীদের এসএসসি-এইচএসসি যে নম্বর সরবরাহ করেছে সেইটাকে আমরা ২৫ এবং ২৫-এ কনভার্ট করেছি।

ফল পুনঃনিরীক্ষনের বিষয়ে তিনি বলেন, ফল পুনঃনিরীক্ষার জন্যে একটি সার্কুলার দিয়েছি। ২০ তারিখ পর্যন্ত যাদের এইরকম ইচ্ছা রয়েছে পুনঃনিরীক্ষনের জন্যে তারা আবেদন করতে পারবে। আমরা ২৪ তারিখে এটার কি ফলাফল, তা জানানোর জন্যে বলে দিয়েছি। আমার মনে হয় এটা নিয়ে আর ভুল বোঝাবুঝি থাকবে না।


সর্বশেষ সংবাদ