চবি ভর্তিচ্ছুদের মারধর, সেই তিন টিটিই বরখাস্ত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২২, ১০:৫৬ AM , আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২২, ১১:১৭ AM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের লাকসাম রেলস্টেশনে আটক ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন টিটিই'কে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, 'ওই ট্রেনের ভ্রাম্যমাণ টিটিই ও লাকসাম রেলওয়ে জংশনে কর্মরত ভারপ্রাপ্ত জুনিয়র পরিদর্শক আমিনুল ইসলামসহ তিন টিটিইকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে। বিষয়টি জানিয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলে তারা অবরোধ তুলে নেন।'
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা শেষে বিরতিহীন সোনার বাংলা ট্রেনে ওঠেন। শিক্ষার্থীরা জানান ট্রেনের টিকিট কাটার সময় পাননি বলে বিনা টিকেটে ট্রেনে উঠে পড়েন। টিটিই তাদের কাছে ৪০৫ টাকার জায়গায় ৮১০ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে টিটিই’র বাগবিতণ্ডা হয়। পরে দুই ছাত্রকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, লাকসাম জংশন স্টেশনে ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের’ স্টপেজ না থাকলেও সন্ধ্যা ৬টা ৫৭ মিনিটে যাত্রা বিরতি নেয় ট্রেনটি। এ সময় ১০-১২ জন শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিতে দিতে নামিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন থেকে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে শতাধিক শিক্ষার্থী ট্রেনের সামনে শুয়ে অবরোধ করেন।
আরও পড়ুন: চবি ভর্তিচ্ছুদের টিটির মারধর, তিনজনকে আটকে রাখার অভিযোগ।
অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেন লাকসামের ইউএনও মাহফুজা মতিন, রেলওয়ে চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম চৌধুরী, লাকসাম সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মুহিতুল ইসলাম, লাকসাম থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন, লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি জসীম উদ্দিন খন্দকার।
পরে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলে রাত সোয়া ৯টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে ট্রেনটি লাকসাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
রেলওয়ে চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, পুরো ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ট্রেনটি লাকসামে থামার কথা না। থামানোর সঙ্গে যে যতটুকু জড়িত, তাকে ততটুকু শাস্তি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে সারাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আসায় বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রেনটি চালু করা হয়। এরপরও এভাবে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা দুঃখজনক।