ঢাকা কলেজে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির জরুরী সাধারণ সভা
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৪৫ PM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:০৮ PM
বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতির জরুরী সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷ শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা কলেজের শহীদ আ.ন.ম.নজিব উদ্দিন খান খুররম মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয় ৷ জরুরী সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সর্বশেষ নির্বাচিত বিদায়ী কমিটির সভাপতি ও ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। এতে সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট থেকে প্রায় দুই হাজার শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর মেয়াদে সমিতির সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৬ সালের জুন মাসে৷ সেই হিসেবে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৮ সালে ৷ দীর্ঘ সময় ধরে নেতৃত্বশূন্য বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডুবে আছে নানা ধরনের সমস্যায়।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে
সাধারণ সভায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচনের জন্য কমিশন গঠন ও তারিখ নির্ধারণ করা হয়। উপস্থিত সাধারণ সদস্যদের প্রস্তাবনা ও সম্মতির ভিত্তিতে সমিতির গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। যেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সদ্য বিদায়ী অধ্যক্ষ অধ্যাপক ঈমান আলী ও সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সরকারি তিতুমীর কলেজের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবেদা সুলতানা, অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (অবঃ), সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী, ঢাকা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: ৩০০ বছর ধরে জ্ঞানচর্চায় যে মাদ্রাসা ভূমিকা রাখছে
কমিশনকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সার্বিক সহায়তা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সমিতির রুটিনওয়ার্ক পরিচালনার জন্য ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে আহ্বায়ক হিসেবে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ্ মো. আজমতগীর, যুগ্মআহ্বায়ক হিসেবে ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সিকদার ও সদস্য সচিব হিসেবে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর আলী দায়িত্বপালন করবেন।
এছাড়াও নির্বাচন সামনে রেখে সাধারণ সভায় আরও কিছু সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়। সেগুলো হলো -
• ৩৮তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) পর্যন্ত সকল কর্মকর্তাকে আপাতত বার্ষিক চাঁদা ছাড়াই ভোটার করা।
• চাঁদার বিষয়ে নির্বাচিত কমিটি পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
• সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ডে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পরামর্শ
সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নানা সমস্যা নিরসনের সমিতির গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আমরা কোন বিকল্প নেই।
শিক্ষা ক্যাডার সংখ্যায় বৃহত্তর হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটির না থাকায় কর্মকর্তারা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা প্রত্যাশা করি এই সাধারণ সভার মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচনের যোগ্য নেতৃত্বের বের হয়ে আসবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতির প্রাক্তন মহাসচিব অধ্যাপক মো. মাসুমে রব্বানী খান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহসিন কবির, স্বাধীনতা বিসিএস সাধারন শিক্ষা সংসদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোঃ নাসির উদ্দিন সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।