সব শিক্ষার্থীর অর্নাস করার দরকার নেই: উপাচার্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৪১ PM , আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:৪৪ PM
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেছেন, অকারণে চার বছর সময় নিয়ে সব শিক্ষার্থীর অনার্স করার দরকার নেই। যারা অনার্সে ভর্তির সুযোগ পায়নি তারা আমাদের ডিগ্রি অথবা প্রোফেশনাল প্রোগ্রামে ভর্তি হবে।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে তৃতীয় রিলিজ স্লিপে ভর্তি ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, শিক্ষামন্ত্রী যত্রতত্র অনার্স প্রোগ্রাম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেজন্য অনেক কলেজে অনার্স কোর্স বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে আমাদের আসন সংখ্যা কিছুটা কমে গেছে। এটি বাড়ানোর সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: তৃতীয় রিলিজ স্লিপের দাবি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছুদের
তিনি বলেন, এখন যদি আমরা তৃতীয় রিলিজ স্লিপে ভর্তির সুযোগ দেই তাহলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে যাবে। এতে করে আমাদের সেশনজটে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তৃতীয় রিলিজ স্লিপে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, আমাদের ডিগ্রি প্রোগ্রামে অনেক ভালো ভালো শিক্ষক রয়েছেন। ডিগ্রি প্রোগ্রামেও শিক্ষার্থী বাড়ানো দরকার। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা অর্জন করতেও ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হতে হবে। যারা বাদ পড়েছেন তারা ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, অকারণে অনেক সময় নিয়ে সব শিক্ষার্থীর অনার্স করার দরকার নেই। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে যারা অনার্স করার সুযোগ পাচ্ছে না তারা ডিগ্রি অথবা প্রোফেশনাল কোর্সে ভর্তি হোক। এখানে কম সময়ে ভালো মানের ডিগ্রি অর্জন করা যাবে।
আরও পড়ুন: ভর্তিচ্ছুদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস
এদিকে প্রথম ও দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপে আবেদন করেও আসন না পেয়ে ভর্তিচ্ছুরা তৃতীয় রিলিজ স্লিপের দাবি তুলেছেন। তারা বলছেন, ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অটোপাস দেওয়ায় জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে। এতে ডাবল জিপিএ-৫ পেয়েও অনেকে ভর্তির সুযোগ পায়নি। এই অবস্থায় তৃতীয় রিলিজ স্লিপে ভর্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক (পাস) কোর্সে সাড়ে ৮ লাখের বেশি আসন রয়েছে। এর মধ্যে সম্মান প্রথম বর্ষে আসন রয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৫টি। আর অনার্স পাস কোর্সে আসন রয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯টি।