জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ২০ কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১১:১৯ PM , আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫, ০৯:১৭ PM

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ২০ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবসরে পাঠানোদের মধ্যে উপ-রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার পদমর্যাদার কর্মকর্তারা রয়েছেন।
আজ শনিবার (২১ জুন) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, বিশেষ করে যেসব কর্মকর্তা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসনিক পদে থেকে রাজনৈতিক আনুগত্য দেখিয়েছেন কিংবা সরাসরি দলীয় কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রাজনৈতিক প্রভাবে নানা সুবিধা ভোগকারী এসব কর্মকর্তার চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে কোনো বাধা নেই। অবসরের তালিকায় সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালকসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পর্যায়ের কর্মকর্তা রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেন আর কোনো রাজনৈতিক প্রভাবের জায়গা না হয়, সে জন্য এই কঠোর সিদ্ধান্তের পথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এরই মধ্যে দুই দফায় ১৮ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। সর্বশেষ ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ৯ জন কর্মকর্তাকে ২৫ বছর চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় অবসরে পাঠানো হয়। তারও আগে, গত বছরের ৩ নভেম্বর ২৬৩তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে প্রয়োজন বিবেচনায় আরও ৯ জন কর্মকর্তাকে একইভাবে অবসরে পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে প্রশাসনিক সংস্কারের দৃশ্যমান উদ্যোগ নিয়েছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি ঘোষণা দেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে এখানে দক্ষতা, নৈতিকতা ও সততার ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যায়নের একটি টেকসই কাঠামো গড়ে তোলা হবে। সেই ঘোষণার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোয় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত পরিবেশ গঠনের কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছেন তিনি।