ববি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ৫ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
- ববি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৯:০৫ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০৩:১৬ PM
মরণঘাতী ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে শেষমেশ পেরে উঠেননি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমি। কিন্তু এই যুদ্ধে হার মেনে নেওয়ায় আগে আর্থিক সাহায্যের আবেদনে একটি স্বাক্ষরের প্রতীক্ষায় দীর্ঘ ৫ মাস লড়াই করতে হয় তাকে। তবুও মেলেনি সেই স্বাক্ষর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের কার্যালয়ে পড়েছিল আবেদনপত্র। জিমির মৃত্যুর জন্য প্রশাসনের অবহেলাকে দায়ী করে ৫ দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ এর নিচতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, জিমির চিকিৎসার জন্য তার পরিবার অর্থ সংকটে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তা প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, দীর্ঘ সময় ধরে একাধিকবার আবেদন করেও উপাচার্য এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। প্রায় ৫ মাস সময় ধরে চলা অনিশ্চয়তা, দায়িত্বহীনতা এবং বারবার দপ্তরে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অবহেলা করা হয়েছে। তিনবার আবেদন জমা দেওয়ার পরও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। ফলস্বরূপ, অসুস্থতার সময় সে যথাযথ চিকিৎসা সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হয়, অথচ প্রশাসন তখনও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে ব্যর্থ থাকে।
তারা আরো বলেন, ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সব যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করার ঘোষণা দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
জিমির আবেদনের বিষয়ে প্রশাসনের অবহেলার দায় স্বীকার করতে হবে ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য উপাচার্যকে প্রকাশ্যে (গ্রাউন্ড ফ্লোরে) সব শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় তার জন্য অঙ্গীকারপত্র স্বাক্ষর ও প্রকাশ করতে হবে।
উপাচার্যের কর্মদিবসগুলোতে নির্ধারিত সময়ে নিজ দপ্তরে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, অনুপস্থিত থাকলে একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।
আর্থিক সহায়তা বিষয়ক আবেদন ৩ কর্মদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে, গৃহীত হলে কিংবা বাতিল হলে তা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে এবং এই কাজের জন্য একজন নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
আর্থিক সহায়তা তহবিলের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর ওয়েবসাইটে এর হিসাব প্রকাশ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা যাতে উপাচার্যের সঙ্গে কোন জরুরি বিষয় দেখা করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার না হয় এবং শিক্ষার্থীরা যাতে সহজে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারে, এর ব্যবস্থা করতে হবে।