ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির তথ্য চেয়ে বিজ্ঞপ্তি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ-সংক্রান্ত অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের চিহ্নিতকরণে তথ্য চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে কোনো কাগজপত্র, দলিল বা অন্য কোনো প্রমাণাদি থাকলে ২৪ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে, ডাকযোগে অথবা ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে নির্ধারিত দপ্তরে এ জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ-সংক্রান্ত অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের চিহ্নিতকরণ-সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

এতে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ (সময়কাল গত ০৯.০৩.২০০৯ ইং হতে ০৫.০৮.২০২৪ ইং পর্যন্ত) সংক্রান্ত অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের চিহ্নিতকরণ-সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধানের নিমিত্তে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে তদন্ত কাজে সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি পৃষ্ঠপোষকতা বিষয়ে কোনো কাগজপত্র, দলিল বা অন্য কোন প্রমাণাদি থাকলে, তা আগামী ২৪ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে, ডাকযোগে অথবা ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে নিম্নস্বাক্ষরকারীর দপ্তরে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে মৌখিকভাবে বা টেলিফোনযোগে জ্ঞাত তথ্য প্রদান করা যাবে। উল্লেখ্য, তথ্য প্রদানকারীর গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে।

আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ জুলাইকে ‘কালরাত্রি’ ঘোষণা

উল্লেখ্য, ১৬ মার্চ বিগত ১৫ বছরে নিয়োগ-সংক্রান্ত অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের চিহ্নিতকরণে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খানকে আহ্বায়ক ও শরীরচর্চা ও শিক্ষা বিভাগের উপরেজিস্ট্রার মাছুদুল হক তালুকদারকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। 

এতে সদস্য হিসেবে রয়েছে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুজ্জামান ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী। তদন্ত কমিটিকে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্যের কাছে রিপোর্ট পেশ করার জন্য বলা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ