ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নজর কাড়ছে ক্যাফে ‘মাচাং’

ইবিতে ক্যাফে ‘মাচাং’
ইবিতে ক্যাফে ‘মাচাং’  © টিডিসি ফটো

ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেই শিক্ষার্থীদের নজর কাড়ছে নান্দনিক স্ট্রাকচারে তৈরি ‘মাচাং’ নামের এক ক্যাফে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন  শিক্ষার্থী হাফিজ, রিজওয়ান ও প্রিন্সের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে এই নান্দনিক ক্যাফেটি। উদ্যোক্তরা বলেন, ‘শুধু ব্যবসা নয়, আমাদের অনেক স্বপ্ন জড়িয়ে আছে। আমরা আগেভাগেই বেকারত্বের ট্যাগ মুছতে পেরেছি, পাশাপাশি আরো পাঁচ শিক্ষার্থীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করতে পেরেছি। ফলে আমরা নিজেরাও নিজেদের খরচ যেমন মেটাতে পারছি, তেমনি তারাও বাড়তি আয় করার সুযোগ পাচ্ছে।’ 

জানা যায়, চলতি বছরের শুরুতেই ক্যাফে ‘মাচাংয়ের’ যাত্রা শুরু হয়। ইবি ক্যাম্পাসের আশপাশে ভালো মানের ফাস্টফুডেরর দোকান না থাকা ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানায় উদ্যোক্তারা। এতে তারা সহজেই ভালো মানের খাবার পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। 

এ ছাড়াও পুরো কাফেটি তৈরি করা হয়েছে কাঠ দিয়ে, যা একদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে, অন্যদিকে ক্যাম্পাসের প্রাণবন্ত পরিবেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। ছোট্ট ছোট্ট টেবিল আর চার পায়ায় তৈরি বসার টুলগুলো শিক্ষার্থীদের আড্ডার জন্য যেন একেবারেই আদর্শ স্থান। চা, কফি, স্যান্ডউইচ, স্যুপ, মোমো, চিকেন ফ্রাই, চাইনিজ ভেজিটেবলসহ নানা স্বাদের খাবার পাওয়া যায় এখানে। ফলে ক্যাফে ‘মাচাং ভোজন রশিকদের সেরা স্থানে পরিণত হয়েছে এটি। 

আরো পড়ুন: নাম পরিবর্তনে সনদ বিড়ম্বনায় ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা

সরেজমিনে দেখা যায়,  ক্লাসের ফাঁকে হোক বা সন্ধ্যার আড্ডায় ‘মাচাং’ এখন শিক্ষার্থীদের সুপরিচিত এবং প্রিয় একটি জায়গা। ক্যাম্পাসের নিয়মিত অসংখ্য শিক্ষার্থীর পাশাপাশি শিক্ষকরাও আসেন মাচাংয়ে। প্রকৃতির ছোঁয়ায় মনোরম পরিবেশে উপভোগ করেন প্রায় ১০ রকমের চা এবং স্যুপ, অন্থন, নুডুলস, স্যান্ডউইচ, চিকেন ফ্রাইসহ নানা রকমের খাবার। 

এ বিষয়ে উদ্যোক্তা রিজওয়ান বলেন, ‘শীতকালীন ছুটিতে বাসায় না গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে আমরা ‘মাচাং’ প্রস্তুত করেছি, যাতে ইবির ভাইবোনদের এবং স্থানীয় লোকজনকে ভালোমানের খাবার সরবরাহ করতে পারি। ভালো মানের খাবার খেতে যেন শহরে যেতে না হয়।

ক্যাফের নামকরণ ‘মাচাং’ করার বিষয়ে তিনি বলেন, এমন নামের আইডিয়াটি হাফিজ ভাইয়ের মাথা থেকে এসেছিল। ক্যাফেটি মূলত খালের উপর বাঁশ কাঠের সমন্বয়ে তৈরি একটি ফ্রেম। বাঁশের তৈরি বসার জায়গাকে গ্রামাঞ্চলে মাচা বলা হয়ে থাকে। আমরা যেহেতু নিচে খুঁটির দ্বারা মাচা তৈরি করে তার উপরে ঘর প্রস্তুত করেছি, তাই মাচা নামক জিনিসটার সাথে মাচাং নামটা মিলে যায়। সেখান থেকেই এই নামটি সিলেক্ট করা হয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ