হলের সিট বাতিলের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
- নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৬ PM , আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৬ PM

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পূর্বেই আবাসিক হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) নতুন প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুই দফা দাবিতে মানববন্ধন করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা 'রেজাল্টের আগে সিট বাতিল চলবে না', 'বিদ্রোহীর আঙিনায় বৈষম্যের ঠাই নাই', স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত, মানি না, মানবো না' স্লোগানে ২ দফা দাবি জানান এবং লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
দুই দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা জানায়, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগে সিট বাতিল করা যাবেনা এবং নির্বিঘ্নে উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবন বিষয়ক প্রস্তুতির জন্য চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর ন্যূনতম তিন মাস সময় দিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ফলাফল প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন অসম্পূর্ণ থাকে। তাই এই সময়টিতে আমাদের আবাসিকতা বাতিল করার অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানাই। ফলাফল প্রকাশের পর উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবন বিষয়ক প্রস্তুতি নিতে সময় প্রয়োজন, কিন্তু হল ত্যাগ করলে তা কঠিন হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় আমাদের নির্বিঘ্নে উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবন বিষয়ক প্রস্তুতি কাজ সম্পন্ন করার জন্য স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর অন্তত তিন মাস হলে থাকা প্রয়োজন। তাই প্রভোস্ট কাউন্সিলের পূর্বের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার পূর্বক শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি করছি।
পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে সাক্ষাৎ করে দাবীসমূহ জানান। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মসমূহ বিবেচনা করেই প্রভোস্ট কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ শুনেছি। প্রভোস্ট কাউন্সিল এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রভোস্ট কাউন্সিলে যেসকল শিক্ষার্থীর স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং যেসকল বিভাগের স্নাতকোত্তর চালু নেই সেসকল বিভাগের স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্নের এক মাসের মধ্যে আবাসিক হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর তিন মাস পর্যন্ত হলের সিট বহাল রাখার দাবিতে উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদনও করেন শিক্ষার্থীরা।