খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ১০

সংঘর্ঘের ঘটনা
সংঘর্ঘের ঘটনা  © সংগৃহীত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর এবং শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার জেরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সংঘর্ষের কারণ এবং বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তারা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের সামনে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে তারা বাস মালিক ও শ্রমিকদের ধাওয়া দেয়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরবর্তী কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর রয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সময়ন্বয়ক মো. মুহিবুল্লাহ জানান, গোপালগঞ্জ থেকে রাজীব পরিবহনের বাস করে খুবির এক শিক্ষার্থী খুলনায় আসছিল। ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করে বাস শ্রমিকরা। বিষয়টি শিক্ষার্থীরা জানলে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে অবস্থান নেয় তারা। সেখানে কথা কাটাকাটির জের ধরে পরিবহন শ্রমিকরা আবারও অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২৩তম ব্যাচের ছাত্র ইসলাম মোড়লের সঙ্গে। ইসলাম গোপালগঞ্জ থেকে রাজীব পরিবহনের একটি বাসে আসার সময় সিট সংক্রান্ত বিষয়ে বাসের হেলপারের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইসলাম মোড়ল বলেন, ‘গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় ফেরার পথে ১৫০ টাকার টিকিট কেটে বাসে উঠি। সুপারভাইজার সিটের প্রতিশ্রুতি দিলেও সিট পাইনি। একপর্যায়ে বাসের হেলপার খারাপ আচরণ করেন এবং আমাকে সোনাডাঙ্গায় নামিয়ে ফোন কেড়ে নেন। সেখানে কয়েকজন শ্রমিক মিলে আমাকে মারধর করেন এবং জামা ছিঁড়ে ফেলেন।’

এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় জড়ো হন। তারা শিক্ষার্থী ও শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচার দাবি করেন। এক পর্যায়ে তারা শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, নৌবাহিনীসহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেছেন।

সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) হাওলাদার সানওয়ার মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যৌথ বাহিনীসহ আমরা উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছি। এখানে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ